তেহরানে বন্দুকধারীদের হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর কর্নেল হাসান সায়াদ খোদাই নিহত হওয়ার ঘটনার বদলা নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
গত রোববার (২২ মে) তেহরানে নিজ বাড়ির সামনে দুই বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন উর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, কর্নেল খোদাই রেভল্যুশনারি গার্ডের শাখা এলিট কুদস বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন।
ইরানের এলিট ইসলামিক রেভুলুশনারি গার্ড কোরের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসান সায়াদ খোদাই কুদস বাহিনীর সদস্য হিসেবে ইতিপূর্বে সিরিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরানের শত্রুদেরকে দায়ী করেছেন। ঘটনার পেছনে বিশ্বের দাম্ভিক দেশগুলোর হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমন দেশ বলতে মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেরকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
রাইসি বলেন, আমি এই অপরাধের ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্তের জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ অবশ্যই নেওয়া হবে, এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।
মঙ্গলবার (২৪ মে) ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি বলেছেন, যারা হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করার জন্য সব উপায় প্রয়োগ করা হবে।
খোদাই হত্যার দায় কেউ স্বীকার করেনি। ২০২০ সালের পর এটিই ইরানে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। ২০২০ সালের নভেম্বরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাকরিজাদেহ হত্যার শিকার হন। সেই হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান। ইসরায়েল তখন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনওটিই করেনি।
সাম্প্রতি কয়েকবছরে কুদস বাহিনীর যেসব নেতা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে খোদাই দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে বিমান হামলায় কুদস ফোর্সের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হন।
তার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ২৪ মে, ২০২২
ইআর