ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্বে। তবে বর্তমানে যুদ্ধের সবচেয়ে বড় প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বাল্টিক সাগরের উপকূলে।
ইউক্রেনের ভূখণ্ডে আক্রমণ করে রাশিয়া আসলে ন্যাটোর সম্প্রসারণ রোধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাশিয়া ন্যাটোর সম্প্রসারণ থামাতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। বাল্টিক দেশগুলো রুশ আগ্রাসন দেখেছে। ফলে তারা ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আবেদন করতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছে। এর প্রধান কারণ সম্ভাব্য রুশ হুমকি। রাশিয়ার সঙ্গে স্থলে ও সমুদ্রে সীমানা রয়েছে ফিনল্যান্ডের। তারা বুঝতে পেরেছে- রুশ হুমকির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা উচিত। ফলে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
সত্যি বলতে উভয় বাল্টিক দেশ তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে বাল্টিক সাগর ভাগ করে ফিনল্যান্ডের মতো একই পথ অনুসরণ করেছিল সুইডেন। তবে দেশ দুটির ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্খার কারণ রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাব।
বহু বছর ধরে নিরপেক্ষ এই দুটি দেশ কোনো সামরিক জোটের সদস্য নয়। বিশেষ করে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের জনগণ সামরিক কাঠামোর তীব্র বিরোধিতা করেছিল। ফলে জানা ছিল উভয় দেশ সামরিক প্রযুক্তির দিক থেকে শক্তিশালী হলেও তাদের সামরিক শক্তি খুব বেশি নেই।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেদিন থেকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর নির্দেশ দেন, সেদিন থেকেই তারা নিজেদের সেনাবাহিনীতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এরপর ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে তারা এ বিষয়ে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়েছে। তবে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে পূর্বদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের সম্প্রসারণের বিরোধিতা করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এনএসআর