মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের ২৪ মে পর্যন্ত নির্বিচারে গুলি চালানোর অন্তত ২১২টি ঘটনা ঘটেছে।
অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের (জিভিএ) বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র হামলায় নিহতের হার সার্বিকভাবে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে মানুষ হত্যার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় মাথাব্যথা।
জিভিএ জানিয়েছে, যেসব গুলিবর্ষণের ঘটনায় হামলাকারী ছাড়া চার বা ততোধিক ব্যক্তি আহত বা নিহত হয়, সেগুলোকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ জন শিক্ষার্থী এবং দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারী।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিছানায় শুইয়ে দিচ্ছেন, গল্প শোনাচ্ছেন, গান গাইছেন। তবে পরের দিন সন্তানদের স্কুলে নামিয়ে দেওয়ার পর কিংবা তাদের নিয়ে জনপরিসরে যাওয়ার পর কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে অভিভাবকরা চিন্তিত।
এদিকে এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের গান লবির (সাধারণ জনগণের কাছে বন্দুক রাখার পক্ষের লোক) বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ঈশ্বরের নামে বলছি আমরা গান লবিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে যাচ্ছি। এ দেশের প্রতিটি নির্বাচিত কর্মকর্তাকে এটা পরিষ্কার করে দিতে হবে যে এখনই এর বিরুদ্ধে কাজ করার সময়।
বাইডেন জানিয়েছেন, টেক্সাসের স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় তার দেশের পতাকা ২৮ মে পর্যন্ত অর্ধনমিত থাকবে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ মে) হোয়াইট হাউস থেকে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে এটি সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার ঘটনা নয়। এর আগে ২০১২ সালে কানেকটিকাটে একটি স্কুলে হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এনএসআর