ইসরায়েলের নির্দেশে তেহরানে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর কর্নেল হাসান সায়াদ খোদাইকে হত্যা করা হয়। আর এটি ইসরায়েলই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে।
গত রোববার (২২ মে) তেহরানে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর কর্নেল হাসান সায়াদ খোদাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দেশটির শত্রুদেরকে দায়ী করেছিলেন। এ নিয়ে রাইসি বলেন, আমি এই অপরাধের ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্তের জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ অবশ্যই নেওয়া হবে, এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।
হাসান সায়াদ খোদাইর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ইসরায়েল আমেরিকান কর্মকর্তাদের জানিয়েছে যে এই হত্যার পেছনে তাদের হাত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের বিদেশি অপারেশন শাখা কুদস ফোর্সের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তেহরানকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৪ মে) খোদাইর শেষ কৃত্যে অংশ নেন হাজার হাজার ইরানি।
২০২০ সালের পর খোদাইর হত্যাকাণ্ড ছিল ইরানে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। ২০২০ সালের নভেম্বরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাকরিজাদেহ হত্যার শিকার হন। সেই হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান। ইসরায়েল তখন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনওটিই করেনি।
সাম্প্রতি কয়েকবছরে কুদস বাহিনীর যেসব নেতা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে খোদাই দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে বিমান হামলায় কুদস ফোর্সের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হন।
তার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ২৬ মে, ২০২২
ইআর