আজাদি মার্চ নিয়ে রাজধানী ইসলামাবাদ পর্যন্ত গিয়ে সেখানে অবস্থান করার কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সরকার নির্বাচনের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালাতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ ইমরান খান পিছু হটলেন কেন?
টিভি চ্যানেল ৯২নিউজ-এ এক সাক্ষাৎকারে ইমরান জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কা করছিলেন এবার রক্তপাত হবে। সরকার অত্যন্ত কড়াভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চায়। তারা সেনা নামিয়ে দিয়েছিল। তার সমর্থকদের একাংশের সঙ্গে অস্ত্র ছিল। ফলে হাঙ্গামা শুরু হলে রক্তপাত অনিবার্য ছিল। আর বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা হলে সরকারের সুবিধা হতো।
ইমরান বলেছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আমার সমর্থকদের ঘৃণা বাড়ছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, নিরাপত্তা বাহিনী এবার গুলি চালাবে। আমাদের কিছু সমর্থকের কাছেও বন্দুক ছিল। তারাও তৈরি হয়ে ছিল। এর ফলে দেশের ঐক্য নষ্ট হতে পারতো। দেশ নৈরাজ্যের দিকে যেত।
তবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আর্জি নিয়ে এবার ইমরান খানের দল আদালতের দারস্থ হচ্ছে। ইমরান খান জানিয়েছেন, তার দল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাচ্ছে। তারা সর্বোচ্চ আদালতের কাছে জানতে চাইবে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যাবে কি না? সুপ্রিম কোর্ট এই মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে কি না? ইমরানের মতে, এবার সুপ্রিম কোর্টেরও পরীক্ষা হবে।
আদালত সুরক্ষা দিতে না পারলে কৌশল বদল করে মাঠে নামবেন বলে জানান ইমরান। কারণ এই সরকারকে হটানো তার কাছে জিহাদ। তিনি কোনোভাবেই শাহবাজ সরকারকে বরদাস্ত করবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
নিউজ ডেস্ক