চারদিন ধরে মেয়ের মৃতদেহ আগলে রইলেন মা। মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে।
কর্ণাটক পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় হালাহাল্লি গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা নাগাম্মা। পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা যখন নাগাম্মার বাড়ির দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন তখন দেখা যায়, মেয়ের পচনশীল মরদেহের পাশে ঘুমিয়ে আছেন ওই বৃদ্ধা।
জানা গেছে, বাড়িতে কয়েকদিন আগে মেয়ে রূপার মৃত্যু হলে কাউকেই বিষয়টি জানাননি নাগাম্মা। উল্টো ভেতর থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ করে মেয়ের মরদেহের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। এদিকে পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। পরে দরজা খুলে রূপার মরদেহের সঙ্গে ঘুমন্ত অবস্থায় নাগাম্মাকে দেখতে পান তারা।
উল্লেখ্য, বিয়ের ১০ বছর পরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলে রূপা তার মায়ের কাছে ফিরে এসেছিলেন। তবে কী কারণে রূপার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও পুলিশ জানতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
ইআর