অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে রিবন উইড বা ফিতা ঘাস নামে পরিচিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উদ্ভিদের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা।
বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ খোঁজের খবর দেওয়া হয়।
আবার আন্তর্জাতিক কিছু অনলাইন পোর্টালে বলা হয়েছে, রিবন উইড বা ফিতা ঘাসের আকার প্রায় ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সমান।
রাচেল অস্টিন নামে এক ব্যক্তির তোলা একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সবুজ ও সাদার সংমিশ্রণে গজানো ঘাসে রয়েছে বেগুনি ছোয়া। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, প্রায় ৪ হাজার ৫০০ বছর ধরে বাড়তে বাড়তে আজকের অবস্থানে এসেছে উদ্ভিদটি।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, তারা ধারণা করছেন রিবন উইড বা ফিতা ঘাস মূলত একটি বীজ থেকে গজিয়ে আজ পানির তলদেশে প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা ছেয়ে গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাচক্রে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উত্তরের শার্ক বে এলাকায় রিবন উইড’র সন্ধান পায় গবেষক দল। তারা এ ঘাসের জেনেটিক বৈচিত্র্য বুঝতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের কিছু অংশেও দেখা দেলে রিবন উইড’র। শার্ক বে এলাকার উপকূল থেকে এ ঘাসের অঙ্কুর সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। তারা এটি পরীক্ষা করবেন। এদিকে, ঘাসের নমুনা থেকে একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরিতে ১৮ হাজার জেনেরিক মার্কার পরীক্ষা করেছেন তারা।
গবেষণার নেতৃত্বদানকারী জেন এজেলো বলেন, ঠিক কি পরিমাণ সামুদ্রিক উদ্ভিদের সমন্বয়ে রিবন উইড’র সৃষ্টি হয়েছে তা গবেষণা করছিলাম আমরা। কিন্তু গবেষণায় উঠে আসা আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর উবে গেছে, যখন আমরা জানতে পারলাম বিস্তীর্ণ এ তৃণভূমি কেবল একটি উদ্ভিদ থেকে জন্ম নেওয়া!
একক উদ্ভিদটি শার্ক বে এলাকার ১৮০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং পৃথিবীর বৃহত্তম উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। বছরে মাত্র ৩৫ সেন্টিমিটার বাড়ে এ প্রজাতির উদ্ভিদ। সে হিসেবে অনুমান করা যায়, এ ঘাস গত সাড়ে চার হাজার বছর সময় নিয়ে বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
এমজে