ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি রফতানি করে ৯৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির শীর্ষ আমদানিকারক ছিল ইউরোপের দেশগুলো।
সোমবার ফিনল্যান্ড ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) সমীক্ষার বরাতে আল জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।
সিআরইএর প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার জীবাশ্ম ভিত্তিক জ্বালানি রফতানির ৬০ শতাংশের ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যার মূল্য প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার।
আমদানিকারকদের মধ্যে শীর্ষ স্থানগুলোতে আছে চীন, দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে ১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানি আমদানি করেছে। এরপরেই আছে ইউরোপের দেশ জার্মানি, তারা আমদানি করেছে ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানি।
এরপর যথাক্রমে ইতালি (৮ দশমিক ২ বিলিয়ন), নেদারল্যান্ডস (৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন), তুরস্ক (৭ বিলিয়ন), পোল্যান্ড (৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন) এবং ভারত (৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন)।
রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পাওয়া রাজস্ব আসে মূলত ক্রুড (অপরিশোধিত) তেল বিক্রি করে। এই খাত থেকে দেশটির ৪৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার এসেছে। এরপরেই আছে পাইপলাইনের মাধ্যমে পাঠানো গ্যাস (২৫ দশমিক ১ বিলিয়ন), তেলজাত পণ্য (১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন), এলএনজি (৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন) এবং কয়লা (৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন)।
যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী রুশ পণ্য বর্জনের কারণে মে মাসে রফতানি কমে গেলেও, জীবাশ্ম জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়াতে ক্রেমলিনের আয় কমেনি। বরং রফতানি থেকে আসা রাজস্ব নতুন নতুন রেকর্ড গড়েছে।
সমীক্ষার তথ্যমতে, ভারত রুশ ক্রুড ওয়েলের উল্লেখযোগ্য আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে। ক্রুড ওয়েল রপ্তানির ১৮ শতাংশই যাচ্ছে ভারতে। এই ক্রুড ওয়েল পরিশোধনের পর এর বেশিরভাগ অংশই আবার পরিশোধিত তেল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
নতুন এক সমীক্ষা প্রতিবেদন মতে, সাম্প্রতিক সময়ে, রুশ জ্বালানি রফতানির বেশির ভাগ অংশই গেছে ইউরোপে। ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের দাবি জানিয়ে এলেও বাস্তবতা আসলে পুরোপুরি উল্টো।
সূত্র: আল-জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
এমজেএফ