ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে বিজেপির নেতাদের কটূক্তির জের ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রতিবাদ, সহিংসতা। ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও।

বাদ যায়নি মমতার পশ্চিমবঙ্গও। সেখানে হাওড়া জেলার পাঁচলা ও উলুবেড়িয়ায় এরকম একাধিক ঘটনায় পুলিশ সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করছে বলে আদালতের দারস্ত হয়েছেন সংক্ষুব্ধরা। একটি পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন দাখিল করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

আবদনকারীর আইনজীবীদের দাবি সাধারণ মানুষকে নয়, বেছে বেছে মুসলিম যুবকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজ্য সরকারকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার (১৫ জুন) এর ওপর আবার শুনানি হবে।

আবেদনকারী আইনজীবী মাসুম আলী সর্দারের পক্ষে তার আইনজীবী ঝুমা সেন আদালতকে জানান, পুলিশ বেছে বেছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে ঢুকে যুবকদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করছে।

অপরদিকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্য সরকার এ বিষয়ে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে সেগুলো আদালতে তুলে ধরেন। তিনি জানান, রাজ্যে ১০ জুন পর্যন্ত মোট ২১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআর দায়ের হয়েছে ২৬টি। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও আদালতকে জানান তিনি।

যদিও কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ এরই মধ্যে এই বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এক্ষত্রে রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে না পারলে, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে কলকাতা পুলিশ সোমবার (১৩ জুন) এক প্রশাসনিক আদেশ মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির জন্য বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সমন জারি করে উত্তর কলকাতার একটি থানায় ২০ জুন হাজির হতে বলেছে।

আর কলকাতা হাইকোর্ট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করাকে রাজ্যের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করছেন আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, ১৫ জুন, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।