ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির চাপে ধুঁকছে আর্জেন্টিনা। এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেছেন আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী মার্টিন গুজম্যান।
শনিবার (০২ জুলাই) টুইটারে শেয়ার করা সাত পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। রোববার ( ০৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
কেন তিনি ইস্তফা দিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। গুজম্যান নিজেও কিছু লেখেননি।
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ চুক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মার্টিন গুজম্যান। টুইটারে শেয়ার করা বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, পরবর্তী মন্ত্রী যেন তার মতো অসুবিধায় না পড়েন। তার মতে, ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে একটি চুক্তিতে কাজ করা অপরিহার্য।
মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি খুবই খারাপ আর্জেন্টিনায়। তা ৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ফলে সেদেশের মুদ্রা পেসোর ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে এখনই ব্যবস্থা না নিলে মুদ্রাস্ফীতি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আর্জেন্টিনার সাবেক অর্থসচিব মিগুয়েল কিগুয়েল এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা জানি না আগামিদিনে কী হতে চলেছে। কিন্তু এটা বোঝাই যাচ্ছে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। যিনিই এবার দায়িত্ব নিক, তার কাজটা যে খুবই কঠিন হতে চলেছে সেটা পরিষ্কার।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ছিল রীতিমতো ধনী। কিন্তু পরে ক্রমশই অবস্থা বদলেছে। সেই পরিস্থিতিও ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ যে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক করে তুলল তাতে সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে মার্টিন গুজম্যান মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘন্টা, জুলাই ০২, ২০২২
ইআর