ইকুয়েডরের কারাগারে দাঙ্গা-হাঙ্গামা নতুন কিছু নয়। কয়েকদিন পরপরই এমন ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) নতুন এ দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইকুয়েডরের কারাগারগুলো পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনএআই’র এক মুখপাত্র।
আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারের সহিংসতায় চার শতাধিক বন্দী নিহত হন। এ ঘটনায় ইকুয়েডরের রক্ষণশীল সরকারের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসোর দেশটির মাদক পাচার রুটের নিয়ন্ত্রণ করা গ্যাং ওয়ারফেয়ারকে দায়ী করেছে।
সোমবার যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মরদেহ শনাক্তের কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। দাঙ্গার ঘটনার পর কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লাটাকুঙ্গাসহ কোটোপ্যাক্সি প্রদেশের গভর্নর ওসওয়াল্ডো করোনেল।
ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত লাতাকুঙ্গা। করোনেল জানিয়েছেন, কারাগারে আহত ১৪ জনকে জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত জুলাইয়ে সান্তা ডোমিঙ্গোর একটি কারাগারে ১২ জন বন্দীকে হত্যা করা হয়েছিল। তার আগের মাসে এক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হন।
ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইকুয়েডরের কারাগার ব্যবস্থায় কোনো নীতি নেই। বেশিরভাগ কারাগারে বন্দীদের ভিড় বড় হয়ে উঠছে। পরিস্থিতিই একই সঙ্গে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
নিহতদের পরিবারগুলো কারা ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। এসব ঘটনায় তারা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কারাগারের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তারা একটি কমিটিও গঠন করেছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ইকুয়েডরের বিভিন্ন কারাগারে বর্তমানে ৩৩ হাজার ৫শ বন্দি রয়েছে, যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২২
এমজে