ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর যে নির্দেশ দিলেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২২
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর যে নির্দেশ দিলেন পুতিন

ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী একটি ব্রিজে ভয়াবহ গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। জরুরি ভিত্তিতে এ কমিশন গঠনের আদেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার নিউজ এজেন্সি ইন্টারফেক্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, শনিবার ভোরে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রেসিডেন্টকে জানানোর পরপরই দ্রুত কমিশন গঠনের কথা বলেন তিনি।

সরকারি এ কমিশনে থাকবেন ক্রিমিয়ার প্রধান, ন্যাশনাল গার্ড, ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

নিউজ আরটির খবরে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ান ব্রিজে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া ‘সন্ত্রাসী প্রকৃতির’ সঙ্গে মিলে যায়। বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য কিয়েভের প্রতিক্রিয়াও সন্ত্রাসী প্রকৃতির সাক্ষ্য দেয়।

শনিবার ভোরে বিস্ফোরণের পর সেতুটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই রুশ পরিবহনমন্ত্রী সাভেলিভ ও জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার কুরেনকভ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহতরা বিস্ফোরিত ট্রাকের কাছে থাকা একটি গাড়ির যাত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের পরিচয় নিশ্চিতে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ব্রিজটি ইউক্রেনের রুশ সেনাদের রসদ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হতো। বিস্ফোরণের ঘটনায় বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলাইভ, ক্রাইভি রিহ ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে যুদ্ধরত রাশিয়ান সৈন্যরা বিদ্যমান স্থল ও সমুদ্র করিডোরের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সরবরাহ পাবে।

এদিকে ক্রিমিয়ান সেতুতে ঘটা বিস্ফোরণ ঘটনা ‘কেবল শুরু’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির একজন শীর্ষ সহযোগী। মিখাইল পোডোলিয়াক নামে ওই কর্মকর্তা টুইট পোস্টে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ক্রিমিয়া সেতু, মাত্র শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলে থাকা সবকিছু অবশ্যই বহিষ্কার করতে হবে।

এর আগে তিনি ইউরোপের বৃহত্তম সেতুটি ধ্বংস করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন। সেতুটি অবৈধ নির্মাণ ও এক সময় ইউক্রেনের কাছে থাকা ক্রিমিয়ায় রুশ সেনাবাহিনীর রসদ সরবরাহের প্রধান প্রবেশদ্বার হওয়ায় সেতুটি ধ্বংস করার কথা বলেছিলেন তিনি।

সূত্র: আল জাজিরা, আরটি

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ৮ অক্টোবর, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।