কলকাতা: ভারতে কাজ দেওয়ার নাম করে দুই বাংলাদেশি নারীকে বিক্রি করে দেওয়া হয় মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধপল্লীতে । কৌশলে পালিয়ে তারা সেখান থেকে ফিরে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায়।
সোমবার(১৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে এই ঘটনার পর ওই দুই বাংলাদেশিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
এদিন সকালে গ্রেফতার ২ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার জন্য তাদের আদালতে পেশ করে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ।
ওই দুই বাংলাদেশি নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত একমাস আগে এক দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন তারা । সেই দালাল চক্র তাদেরকে বলেছিল, মুম্বাইয়ে ধনী ফ্ল্যাটে মোটা টাকার পরিচারিকার কাজ দেবেন।
পুলিশকে জানায়, গত একমাস আগে মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আদমপুর বর্ডার দিয়েই নদীপথ হয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন ওই দুই নারী । এরপর বাংলাদেশি দালাল চক্র তাদেরকে ভারতের নারীপাচার চক্রের কাছে তুলে দেয়।
তারা ট্রেনে করে সেই পাচারকারীদের সঙ্গে মুম্বাই যান। কিছুদিন থাকার পরেই তারা বুঝতে পারে যে তাদেরকে নিষিদ্ধপল্লীতে দেড় লাখ রুপিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
এরপর তারা পরিকল্পনা করেন যে করেই হোক বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। পরে তারা গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) কৌশলে মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ পল্লী থেকে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মালদায় ফিরে আসেন।
এরপর রোববার রাতে মালদায় এসে সিএনজি করে আদমপুর এলাকায় পৌঁছান। সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করলে বিএসএফের কর্তব্যরতদের নজরে আসে। সন্দেহজনকভাবে ওই দুই নারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপরই সমস্ত বিষয়ে প্রকাশ্যে আসে।
ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, দেশে আমাদের পরিবারের খুবই অভাব। একটা কাজ চেয়েছিলাম, টাকা রোজগার করবো বলে। কিন্তু দালালদের খপ্পরে এভাবে পড়ে যাবো ভাবতে পারিনি।
প্রশাসনের কাছে তারা আবেদন করেছেন যে, আইনগতভাবে যাতে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, এদিন দুই বাংলাদেশি নারী আদালতে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি কোন দালাল চক্র ভারত সীমান্তে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেটিও নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর ২০২২
ভিএস/ইআর