সবচেয়ে কম সময়ের (৪৫ দিন) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রক্ষণশীল দলের লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর ফের আলোচনায় আসছে বরিস জনসনের নাম। একই সঙ্গে আলোচনায় আসছে ঋষি সুনাক, যাকে হারিয়েই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লিজ ট্রাস।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলছে, ট্রাসের পদত্যাগের সময় দেশের বাইরে থাকলেও দ্রুতই দেশে ফিরেছেন বরিস জনসন। নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদপূর্তির আগে কেউ প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়লে ব্রিটেনে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন হয় না। বরং পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের এমপিদের ভোটে পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হন।
বরিস জনসনের ৩ বছর ৪৫ দিন দায়িত্ব পালন শেষে লিজ ট্রাস এমন নির্বাচনের মাধ্যমেই ঋষি সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাই পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে। বিশেষ করে যদি প্রার্থী একজন থাকে তবে ঋষির সুযোগই বেশি মনে করা হচ্ছে।
এমপিদের নিয়ে গঠিত ‘১৯২২ ব্যাকবেঞ্চ কমিটি’ ওই নির্বাচন দেবে পরবর্তী ছয় সপ্তাহের মধ্যে। তবে বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ার স্টারমার সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তার মতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের লেজেগোবরে অবস্থার কারণে জনগণকে খেসারত দিতে হচ্ছে।
বরিস ও ঋষি সুনাক ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন পেনি মরডান্ট, যিনি ট্রাসের সঙ্গে লড়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, ট্রাসের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস এবং কেমি বেইডনক আলোচনায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ