ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

সিপিসির ক্ষমতায় আবার শি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
সিপিসির ক্ষমতায় আবার শি

শেষ হয়েছে চায়না কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কংগ্রেস। আগামী পাঁচ বছরের জন্য পার্টির ক্ষমতা আবারও গেছে শি জিনপিংয়ের হাতে।

ফলে নিশ্চিতভাবে তিনিই থাকছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। খবরে বলা হয়, শনিবার (২২ অক্টোবর) সিপিসির কংগ্রেস শেষ হওয়ার পর পার্টির সর্বোচ্চ ফোরাম পলিটব্যুরা স্ট্যান্ডিং কমিটির (পিএসসি) প্রধান হিসেবে তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

সম্মেলনের মাধ্যমে সিপিসি নিজ গঠনতন্ত্রের সংশোধনী অনুমোদন করেছে। এতে তথাকথিত ‘টু এস্টাবলিশস’ ও ‘টু সেফগার্ডস’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার লক্ষ্য শি জিনপিংকে পার্টির প্রধান ও তার তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাকে মূল আদর্শ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।

গত ১০ বছর ধরে পিএসসি প্রধানের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শি। নতুন করে পিএসসি প্রধান হওয়ায় একই পদে ৬৯ বছর বয়সী এ রানৈতিকের দায়িত্ব পালনকালীন সময় হবে ১৫ বছর।

সিপিসির সংবিধান অনুসারে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান হবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সে হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শি’র সামনে কোনো বাধা থাকছে না।

শনিবার পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান নির্বাচিত হলেও অন্যান্য সদস্যরা নির্বাচিত হননি। আগামীকাল রোববার (২৩ অক্টোবর) পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন পলিটব্যুরো সদস্যরা।

পুনঃনিযুক্ত প্রতিনিধিদের একটি তালিকা পার্টি কর্তৃক নিশ্চিত হয়েছে। জানা গেছে, রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। এ তালিকায় আছেন দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাও।

শনিবার কংগ্রেসের শেষ দিন নিজের সমাপনী বক্তৃতায় শি পার্টির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, অন্তরে সংগ্রাম ও জয়ের সাহস রাখুন। কঠোর পরিশ্রম করুন; এগিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হোন। সামনে অনেক কাজ করতে হবে।

২০১২ সালে চীনের ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। তারপর থেকেই নিজের ব্যক্তিগত ক্ষমতাকে সুসংহত করেন তিনি। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন তিনি। শক্ত মনোভাবনার কারণে তাকে আধুনিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুংয়ের সমকক্ষ নেতা মনে করেন অনেকেই।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।