যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এ লড়াইয়ে যুক্তরাজ্যের ১২৮ এমপির সমর্থন পাচ্ছেন তিনি।
একটি টুইট বার্তায় ঋষি সুনাক বলেন, যুক্তরাজ্য একটি মহান দেশ। তবে আমরা গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি। আমি আমাদের অর্থনীতিকে ঠিক করতে চাই।
এদিকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াইয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে তার দাবি, পর্যাপ্ত এমপিদের সমর্থন পাবেন তিনি। এদিকে লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে জন্য লড়াইয়ের ঘোষণা দেন হাউজ অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট। গত শনিবার ঋষি সুনাক ও বরিস জনসনের বৈঠকও হয়েছে বলে জানান গেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য প্রাথমিকভাবে আগ্রহী প্রার্থীদের কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপির সমর্থন প্রয়োজন। সোমবার দুপুরের মধ্যেই আগ্রহী প্রার্থীকে কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় এমপির সমর্থন দেখাতে হবে। যদি মাত্র একজন প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন জোগাড় করতে সমর্থ হন তাহলে তিনিই হবেন দলীয় নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আর এমপি ও দলীয় সদস্যদের ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।
যদি দুইয়ের অধিক প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন আদায়ে সফল হন তাহলে দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সবচেয়ে কম ভোট যিনি পাবেন তাকে বাদ দেবেন। এভাবে প্রার্থীর সংখ্যা দুইজনে নেমে আসার পর এমপিরা আবার তাদের পছন্দ বাছাই করবেন। এরপর দলীয় সদস্যরা অনলাইনে ভোট দেবেন। সবার ভোট হিসেব করে যিনি জয় হবেন তিনিই হবেন দলীয় নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
আগামী শুক্রবারের (২৮ অক্টোবর) মধ্যে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
ইআর