কমতে শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। শুরুটা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান দিয়ে, এরপর যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম।
২১ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮০ কোটি ডলার কমে ৫২ হাজার ৪৫২ কোটিতে এসে ঠেকেছে, যা ২০২০ সালের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন।
গত বছরের অক্টোবরে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এরপর থেকে রিজার্ভের পরিমাণ প্রতিনিয়ত কমছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপি যাতে শক্তি না হারায় তা নিশ্চিত করতে মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করছে শীর্ষ ব্যাংক। যে কারণে রিজার্ভ কমছে।
আরবিআই জানিয়েছে, শেষ হওয়া সপ্তাহে স্বর্ণের রিজার্ভ ২৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কমে ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধি এবং ভারতে আমদানি বাড়ায় ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে রুপিকে সহায়তা দিতে শীর্ষ ব্যাংককে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হচ্ছে। যে কারণে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভও কমছে।
প্রসঙ্গত, ক্রমশ দর কমছে ভারতীয় মুদ্রা। এরইমধ্যে ডলার প্রতি টাকার দাম ৮৩ টাকার ঘরে নেমেছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) টাকার দাম কিছুটা বাড়লেও ডলার ৮২ টাকার ওপরেই আছে।
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এ নিয়ে জবাব চেয়েছেন নবনির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
ইআর