রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর প্রাদেশিক রাজধানী ও বৃহত্তম ভূখণ্ড খেরসনে ব্যাপক তদন্ত চালিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। অঞ্চলটিতে চারশো’র বেশি যুদ্ধাপরাধ উন্মোচন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় সেনা ও বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ পাওয়া গেছে। অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধ ঘটানো হয়েছে। খুনিদের বিচার করা হবে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিবিসির খবরে বলা হয়, খেরসনে যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও মস্কোর দাবি, তাদের সেনারা ইচ্ছা করে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেনি।
রোববার (১৩ নভেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, অন্যান্য অঞ্চলের মতো খেরসনেও নৃশংস চিহ্ন রেখে গেছে রুশ সেনারা। আমরা প্রত্যেককে খুঁজে বরে করবো। প্রত্যেক খুনিকে বিচারের আওতায় আনবো; এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বেসামরিক নাগরিকদের মরদেহ পাওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
খেরসনে বর্তমানে কারফিউ জারি করে যাতায়াত সীমিত করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
কিয়েভ, বুচা, ইজিউম ও মারিউপোলে ছাড়ে রুশ বাহিনী। অঞ্চলগুলোয় গণকবরের সন্ধান পায় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে জাতিসংঘের একটি কমিশন জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
এমজে