বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৮৫০ মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, তাইওয়ান, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া।
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ কোটি ১৮ লাখের ঘর। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ লাখ ২১ হাজার।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৩৮ জন। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৩১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ২১ হাজার ৪৭৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৪২৬ জন। আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৪ হাজার। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ১৫৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৫ জন এবং মারা গেছেন ১৩৩ জন। মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩৫ লাখ ১৯ হাজার ৮০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৭ হাজার ৯৫৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ২৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১২৪ জন। ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৯৭ হাজার ৫২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ১ হাজার ৭৯৬ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৭ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৩১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮০ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ২১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৭৩ জনের। একইসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৮২২ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
এমএইচএস