সাম্প্রতিক সপ্তাহে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় স্থান ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউয়ে একটি বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন নিহত, আহত হয়েছিলেন ৮১ জন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও ইরাকের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুয় তুর্কি সামরিক বিমান হামলা চালানো হয়। রোববার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতরা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ও ইরাকের ওই লক্ষ্যবস্তুগুলো ব্যবহার করত বলে দাবি তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। যে কারণে ইরাক ও সিরিয়ায় অভিযান চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। রোববার টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে তুরস্কের এ মন্ত্রণালয় অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়।
সামরিক বিমানের রাত্রিকালীন অপারেশনে সামরিক প্লেন ওড়ার একটি ছবি প্রকাশ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ক্যাপশন দেওয়া হয়- সময় এসে গেছে। যেসব বিশ্বাসঘাতক হামলা করেছে তাদের জবাব দেওয়া হবে।
অপর এক টুইট পোস্টে ভিডিও যুক্ত করে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেন, সন্ত্রাসীদের গরম বিছানা ধ্বংস করতে নির্ভুল হামলা চালিয়েছে আমাদের বিমান বাহিনী।
যেসব লক্ষ্যবস্তুতে তুর্কি হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তুরস্কে হামলার ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হয় বলেও দাবি করা হয় ওই পোস্টে। তুর্কি ওই মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ থেকে উদ্ভূত আত্মরক্ষার অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তারা পেন্স কিলিক বিমান দিয়ে ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে।
ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউয়ে গত ১৩ নভেম্বর হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও সহযোগী সিরিয়ান কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে আঙ্কারা। পিকেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও কুর্দি যোদ্ধারা ইস্তিকলালর ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
এমজে