যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি আসা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ডিপথেরিয়া সংক্রমণ বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি এতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এক অভিবাসী এর আগে কেন্টের ম্যানস্টন প্রসেসিং সেন্টারে আটক হওয়ার পর মারা যান। তার মৃত্যুর সঙ্গে রোগটির সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গেল ১৯ নভেম্বর ওই ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান। এর সাতদিন আগেই একটি ছোট নৌকায় করে তিনি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন।
চলতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, তারা যুক্তরাজ্যের আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ৫০ জনের বেশি ডিপথেরিয়া রোগী পেয়েছেন।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ সালে রোগের ভ্যারিয়েন্টে মাত্র তিনজন আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ডিপথেরিয়া তীব্র সংক্রামক রোগ। এই রোগে নাক ও গলায় সমস্যা দেখা দেয়। কখনো কখনো ত্বকের আলসারও দেখা যায়।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য বলছে, রোগটি হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়ায়।
যুক্তরাজ্যে শিশুদের ডিপথেরিয়ার টিকা দেওয়া হয়। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা একেবারেই কম। অভিবাসীদের জন্য এই রোগের সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (এইচএসএ) বলছে, ম্যানস্টনে ৫০ এর বেশি লোকের ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এখানে আসার আগেই কিছু লোকের উপসর্গ ছিল। তারা নিজ নিজ দেশে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।
দেহে রোগটির উন্মেষপর্বের সময়কাল দুই থেকে পাঁচ দিন, সর্বোচ্চ ১০ দিন। তাই ম্যানস্টনের আশ্রয়প্রার্থীদের সংক্রমণ সাম্প্রতিক।
ম্যানস্টনে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির ডিপথেরিয়া ছিল কি না তা নিশ্চিতের জন্য মরদেহের ময়নাতদন্তের চেষ্টা চলছে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, অসুস্থতার কারণ ডিপথেরিয়া হতে পারে।
স্বরাষ্ট্র দফতর বলছে, প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির ডিপথেরিয়া নেগেটিভ ছিল। এখনও কোনো প্রমাণ নেই।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশ্রয়প্রার্থীদের টিকা ও অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭
আরএইচ