ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

মাটিরাঙ্গাকে আধুনিক করতে চান শামছুল

অপু দত্ত,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
মাটিরাঙ্গাকে আধুনিক করতে চান শামছুল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সুবিধা বঞ্চিত মানুষ আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন যাতে এলাকার উন্নয়ন করতে পারি। আমি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে বদ্ধপরিকর।

সুযোগ সুবিধা দিয়ে মাটিরাঙ্গা শহরকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়তে চাই।

শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এমন প্রত্যয়ই ব্যক্ত করেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র শামছুল হক। তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাত হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. বাদশা মিয়া পান তিন হাজার ৩৮৬ ভোট।

শামছুল হক বলেন, ২০০২ সালে মাটিরাঙ্গা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজও এই শহরে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। পৌরসভা থেকে যে সুযোগ সুবিধা নাগরিকদের পাওয়ার কথা, তার সবটুকু থেকেই বঞ্চিত তারা।

আমি সবার মতামত নিয়ে প্রথমে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করবো। তারপর মাটিরাঙ্গা শহরকে আধুনিক শহরে রূপান্তর করবো।

শামছুল হক ১৯৫৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লায় তার বেড়ে ওঠা। বাদশা মিয়া চৌধুরী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। ছাত্র জীবনে জাসদ-ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে মাটিরাঙ্গায় এসে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। ২০০৩ সাল থেকে আজ অবধি মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও দুইবার মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কতদিন ধরে নির্বাচন পরিকল্পনা করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শামছুল হক বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগাম কোনো পরিকল্পনা ছিল না। মূলত তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই।

সংসদ সদস্যদের চেয়ে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা একেবারে নাগরিকদের কাছাকাছি গিয়ে কাজ করতে পারেন না। যেটা স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিরা করতে পারেন।

নাগরিকদের কাছাকাছি গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শুনে জনপ্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিক কাজ করতে পারে।

দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। সংসদ সদস্যরা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছেন, এখন আমরা সেই প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এটি সত্যিই আমার জন্য গর্ব করার মতো।

তাকে নির্বাচিত করার জন্য মাটিরাঙ্গাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন এই মেয়র বলেন, আমার বিজয় মাটিরাঙ্গাবাসীর প্রত্যাশার ফল। বিগত ১৩ বছরে মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের মাধ্যমে এই শহরকে উন্নত ও আধুনিক শহরে রূপান্তর করাই আমার লক্ষ্য। যাতে পাঁচবছর পর নাগরিকরা মাটিরাঙ্গা শহর নিয়ে গর্ব করতে পারেন।

এটিই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন। তাই শেষটা ভালোভাবে সমাপ্ত করতে চাই।

জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করে যাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

** মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চান নওহাটার মকবুল
** হয়রানি হতে দেবেন না সাতক্ষীরার তাজকিন

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
এসআই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।