ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

সাক্ষাৎকার

রামগতিকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করাই মেজুর লক্ষ্য

সাজ্জাদুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:০৬, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
রামগতিকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করাই মেজুর লক্ষ্য ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুর: ‘সবার সহযোগিতা নিয়ে রামগতি পৌরসভাকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করে মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করাই আমার লক্ষ্য। ’

‘সেবার মানসিকতা নিয়ে স্বপ্ন বুনেছি।

১০ বছর ধরে হাটে-ঘাটে-মাঠে, পাড়া-মহল্লায় ছুটেছি। বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। ভালোবাসা দিয়ে হৃদয় জয় করেছি। তবেই পৌরবাসী মেয়র নির্বাচিত করেছেন। এবার পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে অবিরাম কাজ করবো। ’
 
সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজু।

নির্বাচনে প্রচারণা প্রসঙ্গ তিনি বলেন, সব স্তরের দলীয় নেতাকর্মীরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে আমাকে জয়ী করতে কাজ করেছেন। বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া-তেমন নির্দেশনা দিতে হয়নি। দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক, নির্বাচনী এজেন্ট, ভোটার ও পৌরবাসী আমার জন্য কাজ করেছে; আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

তবে, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও শিক্ষা, সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনায়ও সাধারণ ভোটার ও সচেতন মহল ভোট দিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।

নির্বাচনে সহজ জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভয়াবহ নদীভাঙনে পৌর এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। ওই পরিস্থিতিতে দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের প্রচেষ্টায় ভাঙনরোধে বাঁধ হয়। যে কারণে পৌর নির্বাচনে দল-মত ভুলে সবাই নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। এমনকি বিএনপি-জামায়াতের যেসব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি-ঘর নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে তারাও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছেন।

পৌরসভার উন্নয়নকাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, গত দুই মেয়াদে দুই মেয়র প্রায় ১৪ বছর পার করেছেন; কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পৌরবাসী। এ পরিস্থিতির কারণে ব্যালটের মাধ্যমে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ভোটাররা।

তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে পৌরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কাজ করা হবে। চলাচলের রাস্তা, পানি নিষ্কাশনে ড্রেন ও স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে।

এছাড়া নদীভাঙন রোধে আরও বেশি ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
 
মেজু বলেন, সেবা ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে স্থান পেতে চাই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত ও সহযোগিতা নিয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করবো। কোনো এলাকাকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে না। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কাজটা আগে হবে।

মেজু জানান, তার বাবা মরহুম অজি উল্যাহ মিয়া আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনিও সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চান।

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে রামগতি পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ী হন মেজু। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আজাদ উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৬১১ ও বিএনপির শাহেদ আলী পটু পেয়েছেন ৯৯১ ভোট।

রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর আলগী ও চর বাদাম ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত রামগতি পৌরসভা। এর আয়তন ১১ দশমিক ৮১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৭ হাজার ৩৭৬ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এসআর/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।