ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

বসুন্ধরার সহযোগিতায় ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন ২৪ মুসল্লি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
বসুন্ধরার সহযোগিতায় ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন ২৪ মুসল্লি ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে চতুর্থ কাফেলার ২৪ জন মুসল্লি দেশে ফিরেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এ সুযোগ করে দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।

শনিবার (১১ মার্চ) রাত ১১টায় এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশে ঢাকা থেকে মক্কা-মদিনায় রওনা হয়েছিলেন তারা। সৌদি আরবে ১৪ দিন অবস্থান করেন ওই মুসল্লিরা এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশটির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং বাজুস সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। চতুর্থ ধাপে ওমরাহ পালন করে আসা হাজিরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

হাজীদের সংবর্ধনা জানাতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হুদা।

ওমরাহ কাফেলায় ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতের চটপটি বিক্রেতা মো. মফিজুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরের মমিন পাড়ায়। বর্তমানে রাজধানীর খিলগাঁও শাজাহানপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন।

মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোনদিন যে মক্কা- মদিনায় যাব তা কল্পনাও করি নাই। প্রায়ই নামাজে আল্লাহর কাছে বসে কান্না করতাম। মৃত্যুর আগে যেন আমার এ দু’নয়ন মক্কা-মদিনা দেখতে পারে। আল্লাহর কি হুকুম দেখেন, বাইতুল মোকাররমে ব্যবসা করে যে এ রকম একটা সুযোগ পাবো এটা কখনো ভাবি নাই।

তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপক আনভীর সাহেবের উছিলায় আমরা আজকে ওমরা করে ফিরে আসতে পারছি। মক্কা শরীফে যখন দু’রাকাত নামাজ পড়লাম, হঠাৎ কইরাই আনভীর সাহেবের কথা মনে পড়ছে। তখন আমি হের লাইগা আর হের পরিবারের হগলের (সবার) লাইগা এবং দেশবাসির জন্য দোয়া করছি।

কাফেলার আরেক মুসল্লি বায়তুল মোকাররমের সামনে ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন। নাম ফিরোজ আলম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করায় সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবকে প্রাণভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে এ ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বাংলানিউজকে বলেন, ২০২২ সালে আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১০৪ জন মুসল্লিকে ওমরা পালন করাবো। কিন্তু সেখানে এ পর্যন্ত ১১০ জন মুসল্লি ওমরা পালন করেছেন। এছাড়া ২০২৩ সালে প্রতি মাসে ২৫ জন করে মুসল্লিকে ওমরা পালনে সৌদি আরবের মক্কা- মদিনায় পাঠানোর পরিকল্পনা আছে বসুন্ধরা গ্রুপের।

এর আগে, প্রথম কাফেলা ১৮ ডিসেম্বর সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে ২৬ জন মুসল্লি দেশে আসেন। আর দ্বিতীয় কাফেলাটি ১১ জানুয়ারি ওমরাহ হজ পালন শেষে ৩৩ জন মুসল্লি দেশে আসেন। তৃতীয় কাফেলায় ১৯ জানুয়ারি ওমরাহ হজ পালন শেষে ২৭ জন দেশে ফেরেন।

সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ওমরাহ হজের প্রথম কাফেলাটি রওনা হয় গত ৪ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিল আয়োজনে করা হয়। একই সঙ্গে ওমরাহ যাত্রা উপলক্ষে সব ওমরাহ যাত্রীকে শুকনো খাবারসহ সৌজন্য উপহার দেওয়া হয়। পরে কাফেলাটি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
ইএসএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।