মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার নির্দেশ এবং বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুর আলামিন পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন-
وَ اسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۡۢبِکَ وَ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ
উচ্চারণ: ‘ওয়াসতাগফির লিযামবিকা ওয়ালিলমু’মিনীনা ওয়ালমু’মিনা-তি’।
অর্থ: ‘(হে রাসূল! আপনি) ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আপনার নিজের জন্য এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্য’। (সূরা: মুহাম্মাদ, আয়াত: আয়াত ১৯)
কোনা ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোয়া করেন, তবে আল্লাহ তাআলা সে দোয়া কখনও ফেরত দেন না। তার জন্য ফেরেশতারাও দোয়া করতে থাকেন। হাদিসে এসেছে-
> হজরত উম্মে দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, আমার স্বামী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি তার কোনো ভাইয়ের জন্য তার পেছনে (তার অনুপস্থিতিতে) আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তবে ফেরেশতা সে দোয়া (কবুলে) ‘আমিন’ বলেন’। (আর কান্নাকাটি করে দোয়া করলে) নিজের জন্যও এ দোয়া কবুল হয়’। (মুসলিম)
> হজরত আবদুল্লাহ ইবনে বুসর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার বাবার কাছে এলেন। আমরা তার জন্য খাবার পরিবেশন করলে তিনি তা গ্রহণ করলেন। তারপর খেজুর আনা হলে তিনি তা খেতে থাকলেন। তারপর পানীয় আনা হলে তিনি তা পান করলেন, তারপর পানপাত্র তার ডান পাশের ব্যক্তিকে দিলেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে বুসর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তারপর আমার বাবা তার সওয়ারীর লাগাম ধরে বললেন, আমাদের জন্য দোয়া করুন। তিনি বললেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি মা রাযাক্বতাহুম ওয়াগফিরলাহুম ওয়ারহামহুম’।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তাদের যে রিজিক দিয়েছ তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করে দিন আর তাদের প্রতি দয়া করুন’। (মুসলিম)
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
জেএইচ