আজান (আরবি: أَذَان) হচ্ছে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান জানানোর ইসলামি পদ্ধতি। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য ৫ বার মসজিদ থেকে আজান দেওয়া হয়।
আজান দেওয়ার সময় ২ হাতের আঙুল কানে রাখা মুস্তাহাব। ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন বেলাল (রা.) আজানের সময় কানে আঙুল রাখতেন বলে বর্ণিত রয়েছে।
আবু জুহাইফাহ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি বেলালকে (রা.) তার ২ কানে আঙ্গুল দিয়ে আজান দিতে এবং আজানে এধার ওধার অর্থাৎ ডানে-বামে চেহারা ফেরাতে দেখেছি। (সুনানে তিরমিজি)
আজানের সময় কানে আঙুল রাখার কারণ বর্ণিত হয়েছে আরেকটি হাদিসে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মুয়াজ্জিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল (সা.) বেলাল (রা.)-কে আজানের সময় ২ কানের ছিদ্রে আঙ্গুল রাখার নির্দেশ দেন এবং বলেন, তাতে তোমার কন্ঠস্বর আরো উঁচু হবে। (সুনানে ইবনে মাজা)
আজান দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। মুআজ্জিন আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। বিভিন্ন হাদিসে আজান দেওয়ার প্রভূত ফজিলত ও সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সা.) বলেন, মুয়াজ্জিনের আজান ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হয় এবং প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্তু তাকে সত্যায়ন করে। (মুসনাদে আহমদ)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সা’সাআহ (রহ.) বলেন, একদিন আবু সাইদ খুদরি (রা.) তাকে বললেন, তুমি তো ছাগল ও মরুভূমি ভালোবাসো। তুমি যখন তোমার ছাগল চরানোর কাজে বা মরুভূমিতে থাকবে আর নামাজের জন্য আজান দেবে, তখন উচ্চৈস্বরে আজান দিয়ো। কারণ মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যতদূর পর্যন্ত মানুষ, জিন ও অন্যান্য বস্তু শুনতে পাবে, কেয়ামতের দিন তারা তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। আমি এটা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে শুনেছি। (সহিহ বুখারি)
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
জেএইচ