জয়পুরহাট: বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জয়পুরহাটে তিনদিনের তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা।
শহরের চুনাপাথর প্রকল্পের বিশাল ময়দানে হাজার হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
এর আগে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। এবারও অনেক মানুষের সঙ্গে মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে নিজের, পরিবার ও দেশের জন্য দোয়া করেছি।
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুর গ্রামের আব্দুল গফুর বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাঠে ইবাদত বন্দেগি করেছি। আজ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি।
আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের বাসিন্দা নয়ন হোসেন বলেন, আমরা সব বন্ধুরা এক সঙ্গে ইজতেমায় এসেছি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া।
ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত ছিল।
ইজতেমা কমিটির জিম্মাদার (আমির) হাফিজ ইমাম জানান, জেলার পাঁচ উপজেলাসহ দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা, নওগাঁর বদলগাছী ও ধামইরহাট উপজেলার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন।
জেলা ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, পুরো দুনিয়ার উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে মহব্বত পয়দা করতে এবং জেলায় শান্তি বিরাজ করতে এই ধরনের ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, ইজতেমা প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল পুলিশ। চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছিলো। এছাড়া, সার্বক্ষণিক টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থাও ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
আরএ