মহিমান্বিত রমজানের এক দশক গত হয়ে দ্বিতীয় দশক চলছে। যেন রমজান মুমিনদের তার বিদায়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করছে।
বেশির ভাগ হাদিসের বর্ণনা মতে, নবীজি (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তবে মধ্যবর্তী দশকের মর্যাদা প্রমাণের জন্য উল্লিখিত হাদিসটি যথেষ্ট।
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছেন। অতঃপর মধ্যবর্তী ১০ দিন ইতিকাফ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, আমি লাইলাতুল কদরের তালাশে ইতিকাফ করেছি। আমাকে বলা হলো, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকে। অতএব, কেউ ইতিকাফ করতে চাইলে সে ইতিকাফ (শেষ দশকে) করতে পারে। ফলে লোকজন তাঁর সঙ্গে ইতিকাফ করল। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১১৭০৪)
আবদুল্লাহ বিন উনাইস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, আমি লাইলাতুল কদর দেখেছি, অতঃপর আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব, তোমরা রমজানের শেষ অর্ধেকে তালাশ কোরো। (শরহু মাআনিল আসার : ৩/৮৮)
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানের ১৭ তারিখ রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৩৮৪)
প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, লাইলাতুল কদরের দিনের সকাল বদরের দিনের সকালের মতোই। আর সিরাত ও মাগাজি বিশেষজ্ঞদের প্রসিদ্ধ মতানুসারে বদরের রাত ছিল ১৭ রমজান এবং দিনটি জুমার দিন ছিল। জায়িদ বিন সাবিত (রা.) ১৭ রমজানের মতো অন্য রাতে এত বেশি জেগে থাকতেন না। তিনি বলতেন, আল্লাহ বদরের দিন সকালে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট করেছেন এবং কাফির নেতাদেরকে সেদিন সকালে চরমভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।
উল্লিখিত হাদিস ও বর্ণনাগুলো দ্বারা প্রমাণিত রমজানের মধ্যবর্তী দশকও ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
এমজে