ইসলাম প্রত্যেক মানুষকে দায়িত্ববান ও কর্তব্যপরায়ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ব্যক্তি যা করবে, তার ফলভোগও তাকেই করতে হবে—এ নীতিতে ইসলাম অত্যন্ত স্পষ্ট।
এ প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব, একজন ইমাম বা নেতা তার অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন।
যে ব্যক্তি পরিবারের অভিভাবক, সে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন নারী, যিনি স্বামীর ঘর সামলান, তিনিও তার দায়িত্বের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন। একজন দাস তার মনিবের সম্পদের বিষয়ে দায়ী এবং তাকেও সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। সুতরাং সচেতন হও, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ’— সহিহ বোখারি
ইসলাম এমন এক ব্যতিক্রম শিক্ষা দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—“কেউ কারও বোঝা বহন করবে না। ” এই নীতির ভিত্তি কুরআনের বহু আয়াতে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহতায়ালা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করবে, তারা নিজেদের কল্যাণের জন্যই তা করবে। আর যারা ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করবে, তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেউ কারও বোঝা বহন করবে না। আর আমি কোনো জাতিকে সতর্ককারী রাসূল না পাঠিয়ে শাস্তি দেই না। ’— সূরা বনি ইসরাইল: ১৫
ইসলামের এ নীতিমালা মানুষের মধ্যে আত্ম দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে। এটি মানুষকে শেখায়, নিজের আমলই একমাত্র পাথেয়। কেউ অন্য কারও পাপ বা পুণ্য বহন করবে না। কেউ অন্য কারও কবরের সঙ্গী হবে না। তাই প্রতিটি মানুষকে তার নিজ কর্মের জবাবদিহি একদিন আল্লাহর দরবারে করতেই হবে।
এ দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে আত্ম-উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করে, ব্যক্তি সত্তাকে শুদ্ধ করে এবং একজন পূর্ণাঙ্গ, দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।
এসআরএস