ঢাকা, বুধবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

ইসলাম

জাহান্নামের কঠিন শাস্তি

আবদুর রশিদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:০৬, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫
জাহান্নামের কঠিন শাস্তি সংগৃহীত ছবি

দুনিয়ার জীবনে যারা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রদর্শিত পথে চলবে তারা জান্নাতে ঠাঁই পাবে আখিরাতের জীবনে। আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের হুকুম ভেঙে বিপথে চলবে তাদের জন্য থাকবে জাহান্নামের শাস্তি।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: জাহান্নামের মধ্যে কাফেরের উভয় ঘাড়ের দূরত্ব হবে কোনো দ্রুতগামী অশ্বারোহীর তিন দিনের পথ। অপর এক বর্ণনায় আছে, কাফেরের এক একটি দাঁত হবে ওহুদ পাহাড়ের সমান এবং তার গায়ের চামড়া হবে তিন দিনের পথ। (মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৪২৮)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন উত্তাপ বাড়বে তখন জোহরের সালাত শীতল করে আদায় কর। কারণ উত্তাপের আধিক্য জাহান্নামের ভাপ। জাহান্নাম তার প্রতিপালকের নিকট অভিযোগ করে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! উত্তাপের তীব্রতা আমার একাংশ অপরাংশকে খেয়ে ফেলছে। তখন আল্লাহ জাহান্নামকে দুটি নিঃশ্বাসের অনুমতি দিলেন। বুখারির এক বর্ণনায় আছে তোমরা যে গরম অনুভব কর তা জাহান্নামের গরম নিঃশ্বাসের কারণে। আর তোমরা শীত অনুভব কর তা জাহান্নামের শীতল নিঃশ্বাসের কারণে। (বুখারি, তাহক্বিকে মিশকাত, হা/৫৯১)

ওই হাদিসে বোঝা গেল জাহান্নামে যেমন আগুনের তাপে উত্তপ্ত এলাকা রয়েছে তেমন প্রচুর শীতল এলাকাও রয়েছে। আর উভয় স্থান মানুষকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন কাফেরদের দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের ন্যায়, আর রান বা ঊরু হবে বায়যা পাহাড়ের মতো মোটা। জাহান্নামে তার বসার স্থান হচ্ছে তিন দিনের পথের দূরত্বের সমান প্রশস্ত জায়গা। যেমন মদিনা হতে রাবায নামক জায়গার দূরত্ব। (তিরমিযি, মিশকাত, হা/৫৬৭৪)।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামের মধ্যে কাফেরের গায়ের চামড়া হবে বেয়াল্লিশ হাত মোটা, দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের সমান এবং জাহান্নামিদের বসার স্থান হবে মক্কা-মদিনার মধ্যবর্তী ব্যবধান ৪১০ কিলোমিটার পরিমাণ। (তিরমিযি, মিশকাত হা/৫৬৭৫)। একজন জাহান্নামির দাঁত উহুদ পাহাড়ের সমান হবে। গায়ের চামড়া বেয়াল্লিশ হাত মোটা বা তিন দিনের চলার পথ পরিমাণ হবে। আর বসার জায়গা হবে প্রায় আড়াই শ মাইল, তাহলে জাহান্নামি ব্যক্তি কত বড় হতে পারে অনুমান করা যায়।

অপরদিকে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাজারে ৯৯ জন লোক জাহান্নামে যাবে এবং প্রতিজনের বসার স্থান হবে প্রায় ২৫০ মাইল। নবী  (সা.) বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহান্নামে কাফিরদের জিহ্বাকে এক থেকে দুই ফারসাখ (তিন মাইল) দীর্ঘ করে দেওয়া হবে। যার ওপর লোক চলাচল করবে। (তারগিব ওয়া তারহিব, আহমাদ, তিরমিযি)

লেখক : ইসলামিক গবেষক

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।