ঢাকা: ১২ রবিউল আউয়ালে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুনবীকে (স.) সম্মান জানিয়ে আগামী ১৩-১৫ জানুয়ারি হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি না দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব ছোট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ঈদ-ই-মিলাদুনবী উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ১৮ দলীয় জোটকে কর্মসূচি না দেওয়ার আহবান জানিয়ে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারী’র যুগ্ম সম্পাদক এ টি এম সামছুল আলম বলেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুনবী দিবসের সম্মানে আপনারা কোনো কর্মসূচি যেন না দেন। তাহলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ভোগান্তিতে পড়বে।
তিনি বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে জৌসনে জুলুস ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের হয়ে মৎস্যভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন, কাকরাইল হয়ে আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
এ প্রস্তুতি সফল করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নবী (স.) শুভাগমন দিবসটি আনন্দ উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করা উম্মতের জন্য অপরিহার্য। এটা কোনো নতুন অনুষ্ঠান নয়। এ দিবস উদযাপন করার দালিলিক তথ্য ও কুরান সুন্নাহর নির্দেশনা রয়েছে।
দিবসটির সম্মানে তিনি সরকার ও বিরোধীদলের প্রতি বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, ঈদ-ই-মিলাদুনবীতে ঢাকায় স্থায়ীভাবে জৌসনে জুলুসে আগত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য জামাতসহ একটি নামাজ আদায়ের উপযোগী ময়দান বরাদ্দ।
বিভিন্ন জেলা থেকে বিশেষ ট্রেন চালু, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্যোগ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার ও তাদের জানমাল রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপ, জঙ্গি তৎপরতা রুখতে সরকারি পদক্ষেপ, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুফী তাত্ত্বিক দর্শন ও নবী ওলীদের জীবন কর্মের ওপর গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারী তরিকার পীর সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম জামিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের খতিব হযতুল হাজ্জ জালাল উদ্দিন আল কাদরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর