ঢাকা: চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর এক লাখ এক হাজার জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার জন।
শনিবার বেলা ১১টায় ২০১৪ সালের বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্রস্তুতি তুলে ধরার লক্ষে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (হাব) সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার এ কথা জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চলতি বছরে হজ বিষয়ে নিয়মাবলী ও বাংলাদেশ সরকারের সাথে সৌদি আরব সরকারের হজ চুক্তি সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এ বছর হজযাত্রীদের ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে জনপ্রতি ২৫০ রিয়াল জমা দিতে হবে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৫০ রিয়াল। তবে এ নিয়ম সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
কেননা এবছর হজযাত্রীরা খাওয়ার জন্য কোম্পানির মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্যাটারিং সার্ভিসে চুক্তিবদ্ধ হবেন। এতে ইচ্ছে করলেই কোনো এজেন্ট তার হাজিকে নিজে রান্না করে খাওয়াতে পারবেন না।
হাবের সভাপতি জানান, সৌদি সরকার নতুনভাবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ওয়েব পোর্টাল সেবাদান পদ্ধতি চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে বাড়ি ভাড়াসহ সৌদির সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে কোনো হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে ঘরে বসেই জানতে পারবেন তিনি কোন হোটেলে থাকবেন এবং কী কী সুবিধা পাবেন।
হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া, খাওয়ার টাকাসহ সৌদি আরবে যত খরচ লাগবে তার সবই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। এই বিষয়গুলো নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য নিয়ম আগের মতোই রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাব’র মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ, সহ-সভাপতি আবদুল কবির খান ও আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার, জনসংযোগ সচিব সায়েম মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হজে যাওয়ার জন্য সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া যাবে। দালাল, ফড়িয়া বা মধ্যসত্ত্বভোগীদের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ ও লেনদেন সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার সুযোগও রয়েছে।
এছাড়া লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন দাবিও তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪