ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

মসজিদ : ব্যবস্থাপনা, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

হাফেজ শফিকুল ইসলাম খোকন, অতিথি লেখক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৫
মসজিদ : ব্যবস্থাপনা, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মসজিদের সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। মসজিদ আল্লাহর ঘর।

এটা হলো প্রতিটি মুমিনের জন্য একটি জীবন্ত প্রতিষ্ঠান। মুমিনের জীবনের সবক্ষেত্রে এর গভীর প্রভাব রয়েছে। মসজিদ শুধু ইবাদত-বন্দেগির জন্য নয়, এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বটে। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী দুনিয়ার সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হলো মসজিদ। ইসলামের যাবতীয় শিক্ষা ও সামাজিক বিষয়াদী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা লাভ করার স্থান হচ্ছে মসজিদ।

পবিত্র কোরআনে কারিমেও মসজিদের গুরুত্ব ও মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বলে দিন, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সেজদার সময় স্বীয় মুখমন্ডল সোজা রাখ এবং তাকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তোমাদেরকে প্রথমে যেমন সৃষ্টি করেছেন, পুনর্বারও সৃজিত হবে। ’ -সূরা আল আরাফ : ২৯

অন্য এক আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আল্লাহ যেসব গৃহকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তার নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে; এমন লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম করা থেকে এবং জাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সে দিনকে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে। ’ -সূরা নুর : ৩৬-৩৭

বর্ণিত আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নামাজ জামাতের সঙ্গে মসজিদে আদায় করা ওয়াজিব। আলোচ্য আয়াতে বর্ণিত ঘরসমূহের অর্থ মসজিদ। বলা চলে, দেশের প্রতিটি মহল্লা ও শহরের বিভিন্ন এলাকার মসজিদ নির্মাণের একমাত্র মূল কারণ এই আয়াতের শিক্ষা।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় স্থান হচ্ছে মসজিদ আর সবচেয়ে অপছন্দীয় স্থান হলো বাজার। -মুসলিম

হজরত ওসমান (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ বানাবে, আল্লাহপাক তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করে রাখবেন। -বোখারি ও মুসলিম

মানুষ হিসেবে আমরা যেমন সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। তেমনি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে প্রত্যেক মহল্লা বা সমাজের মসজিদগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার। এটা মুসলমানদের দায়িত্বও বটে। গুরুত্ব সহকারে আমাদের এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ইবাদত-বন্দেগির পূর্ব শর্ত হচ্ছে পাক-পবিত্র হওয়া। দেখা যায় অনেক মসজিদে এ সবের পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া মসজিদ থাকে অপরিচ্ছন্ন। এসব সমস্যা দূর করতে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

সাধারণ রীতি অনুযায়ী দশের টাকায় মসজিদ নির্মাণ করতে হয়। তবে টাকা সংগ্রহ করতে যেয়ে এমন কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়- যা রীতিমতো অপমানজনক। অভিজ্ঞ আলেমরা এসব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। আমাদেরও সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হয় মসজিদ পরিচালনার ক্ষেত্রে। এরও সমাধান কাম্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘন্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।