ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

সারাদেশে একই মডেলের ৫০০ মসজিদ

নূরনবী সিদ্দিক সুইন, বিজনেস এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৫
সারাদেশে একই মডেলের ৫০০ মসজিদ

ঢাকা: সারাদেশের সবক’টি উপজেলায় একই মডেলের মসজিদ কমপ্লেক্স স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায়েই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।

আর অর্থায়ন করা হবে সরকারিখাত থেকেই।

মসজিদ কমপ্লেক্সে সুদৃশ্য মসজিদের পাশাপাশি থাকবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস ভবন, লাইব্রেরি, গবেষণা কক্ষ, হলরুমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। আর এসব কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় থাকবে সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বৃহস্পতিবার (৫মার্চ, ২০১৫) দুপুরে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একই মডেলের একটি করে মসজিদ কমপ্লেক্স থাকবে। যাতে থাকবে মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন। আর এ বিষয়টিকে লক্ষ্য করে ব্যক্তি/স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এরইমধ্যে মসজিদ কমপ্লেক্সের মডেল আহ্বান করা হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবন, লাইব্রেরি, গবেষণা কক্ষ, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, পুরুষ ও নারীদের আলাদা নামাজ কক্ষ, হজ যাত্রীদের প্রশিক্ষণ হলসহ মুসলিম স্থাপত্য শৈলী ও সৌন্দর্যমণ্ডিত মসজিদ কমপ্লেক্সের মডেল আগ্রহী ব্যক্তি/স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে ফাউন্ডেশনের পরিকল্পনা বিভাগে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

মহাপরিচালক সামীম আফজাল বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই চান সারাদেশে একই মডেলের মসজিদ হোক। আমরা আজকেই মসজিদ কমপ্লেক্সের মডেল আহবান করেছি। নির্বাচিত ১ম, ২য় ও ৩য় মডেল প্রস্তুতকারীকে পুরস্কৃত করা হবে।

পুরো প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ৫০০ উপজেলায় তো একসঙ্গে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। আমরা পুরো প্রজেক্ট প্রোফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটি এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হয়ে একনেক সভায় যাবে। একনেকে অনুমোদন পেলে  কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করছি, সামনের বাজেটেই এ প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ থাকবে। প্রাথমিকভাবে ১০০ উপজেলায় প্রকল্পটি শুরু করা যাবে। প্রাথমিক হিসাবে প্রতিটি মসজিদ কমপ্লেক্স স্থাপন করতে প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দৃশ্যমান ও সুবিধাজনক স্থান নির্বাচনে এরইমধ্যে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। কমপ্লেক্সের জায়গা খাস জমিও হতে পারে, আগ্রহী কেউ দানও করতে পারেন। আবার স্থানীয় প্রশাসন জনস্বার্থে কোনো জায়গা অধিগ্রহণও করতে পারে। সবকিছু মিলে ‌এটি একটি বড় কাজ হবে।

এর আগে গত বছরের মে মাসে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।