ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

নির্মিত হচ্ছে নতুন মসজিদ

কাতারে বাংলাদেশি ইমামের কদর

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
কাতারে বাংলাদেশি ইমামের কদর

কাতারের বিভিন্ন শহরে নতুন করে আরও ১২টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ১২টি মসজিদের মধ্যে চলতি বছর ১১টি মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং বাকী মসজিদটির নির্মাণ কাজ আগামী বছরের প্রথম দিকে শেষ হবে।

খবর দ্য পেনিনসুলার।
 
নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য কাতারের সরকারি পরিষেবা সংস্থা অর্থায়ন করছে। এ সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতারের অন্যান্য শহরে আরও ৯টি নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হবে পর্যায়ক্রমে।

কাতারের সরকারি পরিষেবা সংস্থার পক্ষ থেকে মসজিদ নির্মাণ ছাড়াও কোরআন শেখানোর জন্য মাদ্রাসা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন এসব মসজিদের বেশ কয়েকটিতে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশিরা।

পারস্য উপসাগরের একটি দেশ কাতার। দেশটি একটি উত্তপ্ত ও শুষ্ক মরু এলাকায় অবস্থিত। এখানে ভূ-পৃষ্ঠস্থ কোনো জলাশয় নেই এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যা যৎসামান্য। বেশিরভাগ লোক শহরে, বিশেষত রাজধানী দোহায় বসবাস করেন। দেশটিতে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রচুর মজুদ রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটি।

কাতারের আমির হলেন একাধারে রাষ্ট্রের প্রধান ও সরকার প্রধান। আরবি ভাষা কাতারের সরকারি ভাষা।

কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে কাতারে ১ হাজার ৮০০টি মসজিদ রয়েছে। প্রতিটি মসজিদে একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন এবং একজন খতিব রয়েছেন। কাতারের মুয়াজ্জিন ও ইমামদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। এসব মসজিদে বেশ সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবরা।

১৯৯০ সালে প্রথম সরকারিভাবে ইমাম-মুয়াজ্জিন নেওয়া শুরু করে কাতার। বর্তমানে কাতারে কর্মরত বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিনের সংখ্যা ৭০০ জনেরও বেশি।

কাতারে কর্মরত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ফ্রি বাসা, বিনা মূল্যে পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। সন্তানদের ফ্রি পড়ালেখার পাশাপাশি আরও অন্যান্য সুযোগ ভোগ করেন তারা। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা অন্য কোনো দেশে বিরল।

কাতারে বাংলাদেশি আলেমদের মেধা, আচরণ ও অন্যান্য সাফল্যের কারণে কাতারিদের কাছে বাংলাদেশি ইমামদের কদর বেশি। কাতারে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবদের আরবিতে দক্ষতার পাশাপাশি কোরআনে কারিমের হাফেজ ও মাওলানা হতে হয়। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ইসলামি জ্ঞান ও ভালো কণ্ঠের অধিকারীও।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘন্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।