ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

৮ থেকে ১০ ও ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
৮ থেকে ১০ ও ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা

ঢাকা: রাজধানীর উপকণ্ঠ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (নভেম্বর ১৯) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।



এদিকে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

গতবারের মত এবারও ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, মাঠের সব প্রবেশ পথে ও কৌশলগত স্থানে ইলেক্ট্রনিক্স তল্লাশি (আর্চওয়ে) ব্যবস্থা, ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর রাজধানীর উপকণ্ঠে গাজীপুর তুরাগ নদী পাড়ে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় কন্ট্রোল রুম এবং আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। নিরাপত্তায় পুলিশ-ৠাবের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের টিমও থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিকঠাক আছে কী না তা নিয়ে আমরা আবার ফলোআপ মিটিং করবো।  

গত বছর ইজতেমায় ১১ হাজার বিদেশি মেহমান এসেছিলেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার বেশি বিদেশি মেহমান আসলেও ব্যবস্থা রয়েছে। বিদেশিদের বিশ্ব ইজতেমায় আসার জন্য বিভিন্ন মিশনে স্পেশাল ভিসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভিসা সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। যদি বিদেশিরা বেশিদিন থাকতে চান বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা এক্সটেনশন করারও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। আগত মুসল্লিদের সেবার জন্য ওয়াসা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থা থাকছে।

এছাড়া ইজতেমা উপলক্ষ্যে তুরাগ নদীর পারে ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইজতেমা এলাকায় অস্থায়ী দোকানপাট, স্থাপনা,বস্তি এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

ইজতেমাস্থল ও আশেপাশে স্বাস্থ্যসম্মত খবার বিক্রি মনিটর, খাবারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল ও পঁচা-বাসি খাবার বিক্রির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

এছাড়া ইজতেমা চলাকালে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অশ্লীল পোস্টার, অবৈধ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যানার, ফেস্টুন এবং আপত্তিকর ব্যানার অপসারণ করা হবে।

আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থার কথাও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫/আপডেট ১৫১১ ঘণ্টা
এসএমএ/আরআই



বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।