আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনা (South Carolina) রাজ্যের ইয়র্ক (York) সিটির এক ছোট্ট শহরের নাম ইসলামভিল (Islamville)। শহরটিতে মাত্র ৩০০ লোকের বাস।
শহরটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরগুলোর মতো চাকচিক্যময় নয়। কোনো দোকান নেই, ব্যবসায়-বাণিজ্য নেই। এমনকি কোনো মহাসড়কও নেই শহরটিতে। সেখানে কোনো রোড সাইন নেই যা দ্বারা কেউ বুঝতে পারবে শহরটিতে সে পৌঁছে গিয়েছে।
শুধু একটি সবুজ লোহার গেট রয়েছে যেখানে লেখা- বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। গেটের পরেই একটি রাস্তা পাশের বনের ভিতর দিয়ে শহরের কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। রাস্তাটির উপরে এলোমেলোভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এ শহরের ঘরগুলো কাঠ দ্বারা নির্মিত।

undefined
শহরের বাড়িগুলোর সামনে বাচ্চাদের খেলনাপাতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। লম্বা লম্বা পাতাবিহীন গাছের ফাঁক-ফোকর দিয়ে পায়ে চলার পথ দেখা যায়। এ শহরের সব বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান।
১৯৮৩ সালে এই শহরটির গোড়াপত্তন করেন আফ্রিকান মুসলিমরা। শুরুতে ২০টি পরিবার এখানে বসবাস করা শুরু করেন। আফ্রিকান ধর্মীয় নেতা শায়খ মোবারক আল গনির পরামর্শে তারা এখানে থাকতে শুরু করেন।

undefined
ইসলামভিলে বর্তমানে ধর্মীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আঙ্কেল মুসা (Uncle Musa)। তিনি নামাজের ইমামতি ও বাচ্চাদের আরবি শেখানো থেকে শুরু করে সব ধর্মীয় কাজের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
ইসলামভিলের মেয়র হিসেবে রয়েছেন তরুণ সাঈদ শাকির (Saeed Shakir)। তিনি অবশ্য পার্শ্ববর্তী শহরের অন্য একটি চাকরি করেন। মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন অবসর সময়ে।
শান্ত, নিরুপদ্রব এই মুসলিম শহরে রয়েছে একটি নামাজ ঘরও। এখানকার বাসিন্দারা মিলেমিশে জীবন-যাপন করেন। কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের মাঝে বড় হয় এখানকার ছেলেমেয়েরা।
মার্কিন রাজনীতিতে এখানকার বাসিন্দাদের খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেকেই খোঁজার চেষ্টা করেন পুরো আমেরিকার মুসলমানদের মনোভাব ইসলামভিলের বাসিন্দাদের মাঝে। এ এক কাকতালীয় ব্যাপার। মনে করা হয়, ইসলামভিলের বাসিন্দাদের মাঝে একটা আধ্যাত্মিক ব্যাপার রয়েছে। তাই অাফ্রিকান-মার্কিন মুসলমানরা তাদের খুব মান্য করে চলেন।

undefined
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
এমএ/