ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

উন্নত জীবনবোধ সৃষ্টি হবে যেভাবে

মাহফুজ আবেদ, অতিথি লেখক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
উন্নত জীবনবোধ সৃষ্টি হবে যেভাবে

মসজিদে যাতায়াতের মাধ্যমে একদিকে মানুষের নৈতিক চরিত্রের উন্নতি সাধিত হয় অন্যদিকে ইসলামি জীবনধারা ও উন্নত জীবনবোধ গঠিত হয়। মসজিদকেন্দ্রিক কর্মসূচির কারণেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়তের পর থেকে জাজিরাতুল আরবের মানুষদের নৈতিক চরিত্রের ব্যাপক উন্নতি হয়; বিশ্বব্যাপী ইসলামি সভ্যতার বিকাশ ঘটে।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে যাতায়াত, মসজিদকে কেন্দ্র করে সমাজ পরিচালনা ইত্যাদির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন এবং তখনকার রাষ্ট্রও মসজিদ থেকেই পরিচালিত হতো। এক কথায়, সব কাজের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো- মসজিদ।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে মসজিদে নামাজ আদায় করতেন এবং সবাইকে মসজিদে হাজির হওয়ার জন্য বারবার তাগিদ করতেন। তিনি মদিনায় প্রবেশ করে সর্বপ্রথম কুবায় মসজিদ নির্মাণ করেন। এর পর নির্মাণ করেন মসজিদে নববী।

মসজিদের জামাতে নামাজ আদায়ের সওয়াবও বেশি। মসজিদে একত্রে ধনি-গরিব পাশাপাশি বসে নামাজ আদায় করেন। ফলে সবার মাঝে এক সম্প্রীতির মনোভাব গড়ে উঠে। আর এভাবে ইসলামি জীবনধারা গঠিত হয়।

অশান্ত এই পৃথিবীতে পুনরায় যদি নবীর যুগের মতো ব্যক্তি-সমাজ ও রাষ্ট্রে মসজিদের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়- তাহলে সমাজের বহু সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে।

আমাদের উচিত বেশি বেশি সজিদ নির্মাণ করা এবং মসজিদকে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে জীবন্ত করে রাখা। সেই সঙ্গে মসজিদকে ইসলামি জ্ঞান প্রচার-প্রসারের কেন্দ্র বানানো। তাহলে মানুষ মসজিদে যাতায়াতের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতি সাধনে সক্ষম হবে। আত্মার খোরাক মিলবে।

পৃথিবীতে মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর। তাই আল্লাহর ঘরের হক আদায়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। বাহ্যিকভাবে ইমাম-খতিবরা মসজিদের চালিকা শক্তি। সুতরাং মসজিদকে সক্রিয় ও সফল করতে ইমাম-খতিবদের ভূমিকা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।

মসজিদে শুধুমাত্র জামাতে নামাজ আদায় করা এবং কিছু ধর্মীয় মাসয়ালা-মাসায়েল বর্ণনা করলেই এ দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং সমাজের মানুষকে খোদামুখি করা এবং তাদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনার উন্মেষ ঘটানো একজন সফল ইমাম ও খতিবের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

আমাদের মনে রাখতে হবে, পবিত্র কোরআন মানবজাতির পরিপূর্ণ সংবিধান। কোরআন হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার কিতাব। তাই এ কিতাবের শিক্ষা ও মর্মার্থ সম্পর্কে মানুষকে আবহিত করাও অন্যতম এক দায়িত্ব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।