ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

জীবনে সুখী হতে করণীয়

মাহমুদা নওরিন, অতিথি লেখক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
জীবনে সুখী হতে করণীয়

সুখী মানুষের গল্পটি ছোটবেলায় অনেকেরই পড়া। সেই থেকেই বোধহয় সমাজে এ কথার প্রচলন- বাস্তব জীবনে সুখী মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম।

কিংবা সুখ সে তো সোনার হরিণ!

অনেক মানুষই ভাবে, সুখী হওয়ার জন্য এক ধরনের লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, অসুখী মানুষেরা তাদের লক্ষ্য নিয়ে বেশি সচেতন। কারণ জীবনে আরও ভালো কিছু পেতে তারা উদগ্রীব। তবে, কর্মময় জীবনই সুখী হওয়ার সবচেয়ে মোক্ষম উপায়।

সুখী হওয়ার এমন গোপন সুত্র জেনে কিছুটা ভালো লাগা স্বাভাবিক। তবে এর পেছনে শঙ্কার কারণও রয়েছে। মিথকে অস্বীকার করে আসলেই তী সুখী হওয়ার সত্যিই কোনো উপায় আছে?

উপায়তো নিশ্চয়ই আছে, কেননা এ সৃষ্টি জগতের সবই যে আমাদের প্রয়োজনে মহান রাববুল আলামীন সাজিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজন শুধু সংগ্রহ করে নেওয়া। আপনি সুখী হতে চাইলে নিচের রুটিনটি মেনে চলে দেখতে পারেন। আশা করা যায় এর দ্বারা আপনি কিছুটা হলেও শান্তি ও সুখ খুঁজে পাবেন।

১. প্রথমে নিজেকে সঁপে দেন সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ রাববুল আলামীনের কাছে। সঁপে দিয়ে মনে মনে চিন্তা করুন- সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে জীবন সঁপেছি। তিনিই আমাকে রক্ষা করবেন, যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করবেন। আমি শুধু আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবো। হতাশ হওয়ার, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, থাকতে পারে না।

২. সারাদিনের কাজের একটি রুটিন সাজিয়ে নিন। যে রুটিনে আপনার নামাজ আদায়, কোরআন পাঠ, বাসায় সময় কাটানো, অফিসের কাজগুলো সাজানো থাকবে। থাকবে বিশ্রামের সময়, সামাজিকতা পূরণের সময় ও মনে মনে তাসবিহ পাঠের মতো আমলগুলো।

৩. অবসর সময়ে বই পড়ুন কিংবা জিকিরে মশগুল থাকুন। জিকির মনের অপূর্ণতাগুলো ভরে দেয়।

৪. বিকেলের অবসর সময়ে পরিবারের সদস্যদের সময় দিন। বাচ্চাদের পড়ালেখার খবর থেকে শুরু করে রান্নার কাজেও সহযোগিতা করতে পারেন।

এটি একটি সাদামাট রুটিন। রুটিন দেখে মনে হচ্ছে খুব সহজ রুটিন এটা। আবার কারো মনে হতে পারে আর্থিক অসচ্ছলতা, সুযোগ-সুবিধা পুরোপুরি নেই, তাহলে কেমন করে সম্ভব এ রুটিন মেনে চলা?

এখানেই তো ভুল। কোনটা আছে, কোনটা নেই, সেটা ভেবে সময় নষ্ট না করে অর্জনের চেষ্টা করাটা বেশি জুররি। সেটা কঠিন না সহজ- তা কাজে না নামলে কীভাবে বুঝা যাবে?

আপনার কাজ শুরু হতে পারে এভাবে। দোয়া দিয়ে-

ক. ‘রাবিবগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

অর্থ : প্রভু আমাকে ক্ষমা করো, আমার প্রতি রহম করো। তুমিতো সর্বোত্তম দয়াবান।

খ. কাজের ফাঁকে মনে মনে বেশি বেশি বলা ‘ইহ্দিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম।
 
অর্থ : প্রভু হে! আমাকে সহজ-সরল রাস্তা দান করো।

গ. সন্তানদের নামাজি বানানোর দোয়া করা, আত্মীয়দের খোঁজ-খবর রাখা ও নিজে হালাল রুজির অনুগামী হওয়া।

কিছুদিন এ রুটিনে চলুন, আশা করি আপনি সুখী মানুষের সুখ অনুভব করেবন। সেই সঙ্গে সর্বদা মনে রাখবেন, সুখ অর্থ বিত্তে নেই। সুখ রয়েছে দায়িত্বশীলতায়। সুখ আসে নিয়মানুবর্তিতায় ও সত্যবাদিতায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।