ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ান: গ্র্যান্ড ইমাম আল আজহার

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ান: গ্র্যান্ড ইমাম আল আজহার

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা ব্যাপকহারে মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মিসরের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম ড. আহমেদ আল তাইয়েব। 

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা ব্যাপকহারে মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মিসরের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম ড. আহমেদ আল তাইয়েব।  

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন গ্র্যান্ড ইমাম।

তিনি মিসরের আলেমদের সর্বোচ্চ কমিটি অভিভাবক পরিষদের শীর্ষ কর্মকর্তা। মুসলিমে বিশ্বে ইসলামি স্কলার হিসেবে তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

ড. তাইয়েব বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে- যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এসব নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড সব ধর্মের শিক্ষার বিরোধী ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্পষ্টতই অপরাধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী উল্লেখ করে তাদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে আবেদনও করেন তিনি।  

বিবৃতিতে তিনি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাদের বর্বতা দেখেও সু চির নির্বিকার থাকা কাম্য নয়।  


উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে গত কয়েকদিনের হামলায় অন্তত ৬৯ জন রোহিঙ্গা হত্যার কথা স্বীকার করেছে সেদেশের সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা।  

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় এবং সেই অভিযানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর দাবি, সেনা হামলায় নিহতরা জঙ্গি।  

অন্যদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো ঘিরে রেখে সেনাবাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে তাতে মূলত বেসামরিক নাগরিকই নিহত হয়েছে।  

এদিকে সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা হত্যার পাশাপাশি ব্যাপকহারে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে।  

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাস করে। দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশটির জনগণ রোহিঙ্গাদেরকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী মনে করে।  

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্যাটেলাইট থেকে তোলা কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোর অনেক বাড়ি পুড়ে প্রায় ছাই। মানবাধিকার সংস্থাটির অনুমান, অন্তত ৪৩০টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে।  

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা তদন্তের জন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানিয়েছে।  

-দ্য ন্যশনাল অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।