ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে খুলনায় ইজতেমা শুরু

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে খুলনায় ইজতেমা শুরু খুলনা জেলা তাবলীগ জামাতের ইজতেমা শুরু

খুলনা: লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে খুলনায় শুরু হয়েছে তিন দিনের ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইজতেমা।

খুলনা জেলা তাবলীগ জামাত আয়োজিত ইজতেমা শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে জিরোপয়েন্টে ছয় লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে চলছে এ ইজতেমা।

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার পর দেশের ভেতরে খুলনায় প্রথম জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।   প্রায়  ৫ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে বলে আয়োজক কমিটি আশাবাদী।

সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা বাস-ট্রাক, কার-পিকআপ, রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে ও পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে আসছেন। তারা কাঁধে-পিঠে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে ইজতেমাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। ইজতেমাস্থল এখন মুসল্লিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে।   ইজতেমার পাশে মহাসড়ক হওয়ায় এ রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।   ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের জন্য সর্বমোট পাঁচটি পথ রয়েছে। এর মধ্যে জিরোপয়েন্ট থেকে বাইপাস সড়কে চারটি এবং খুলনা-সাতক্ষীরা রোডে একটি। এসব পথ দিয়ে মুসল্লিরা নিজ নিজ প্যান্ডেলে প্রবেশ করছেন।
ইজতেমায় মুসল্লিদের ঢল, ছবি: মানজারুল ইসলাম

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই প্রথম বড় ধরনের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে খুলনায়। ইজতেমায় ১৬টি দেশের ১২০ জন বিদেশি তাবলিগের সাথী রয়েছেন। ইজতেমাকে ঘিরে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা রেখেছে পুলিশ। পুরো ইজতেমা এলাকায় ৫৪টি সিসি ক্যামেরাসহ ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুম রাখা হয়েছে। এছাড়া বিজিবি, কোষ্টগার্ড, র‌্যাব, আনসার, ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটিএসবিসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ইজতেমা। এ ইজতেমা যাতে সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্যে পানি, বিদ্যুৎ, জনস্বাস্থ্য, ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, পিডাব্লিউডি, পল্লী বিদ্যুৎ পিডিবিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এছাড়া এখানে একাধিক মেডিকেল টিম রয়েছে। ইজতেমা ময়দানের চারপাশে ৫১৬টি টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অসুস্থ মানুষের সেবা প্রদানের জন্য ঢাকা থেকে একটি এবং স্থানীয়ভাবে একাধিক মেডিকেল টিম রয়েছে বলে জানান ইজতেমার সমন্বয়কারী কাজী মো. তারেক ।

তিনি বলেন, সুদান, ইউকে, থাইল্যান্ড, চীন, কাতার, মালয়েশিয়া, কানাডা, মরক্কোসহ ১৬টি দেশ থেকে বিদেশি মেহমান এ ইজতেমায় উপস্থিত থেকে বয়ান করছেন।

এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং কেএমপি সদর দপ্তরে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের নং- ০৪১-৭২০৪৫৭ এবং ০১৭৭৮-৩৭৭৫৭৭, কেএমপি’র কন্ট্রোল রুম নং ০১৫৫৮-৩২৮০০,০১৫৫০-১৫০০৯৯। তবে বিশেষ কাজে যোগাযোগের জন্য কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনারকে (সিটিএসবি) ০১৭১৩-৩৭৩২৯০  নম্বরে পাওয়া যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমআরএম/বিএস

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।