আপনি যদি তাকবির বলার সময় প্রথম অথবা দ্বিতীয় ‘আ’-কে টেনে দীর্ঘ করে পড়েন তবে আপনার নামাজ ভেঙে যাবে। অথবা ‘বা’- কে টেনে দীর্ঘ করে পড়েন তবুও আপনার নামাজ ভেঙে যাবে।
নামাজের শুরুতে যে তাকবির বলা হয় তার নাম তাকবিরে তাহরিমা। নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য তাকবিরে তাহরিমাতেও কিছু বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।
ইমামের তাকবিরে তাহরিমা শেষ হওয়ার পূর্বেই যদি মুক্তাদির তাকবিরে তাহরিমা শেষ হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও মুক্তাদির নামাজ ভেঙে যাবে। মুক্তাদিদেরকে এ ভুল থেকে বাঁচানোর জন্য ইমামের কর্তব্য হলো- তাকবিরে তাহরিমার আল্লাহ শব্দের লামকে এক আলিফ পরিমাণ থেকে দীর্ঘ না করা।
অনেক সময় দেখা যায়- জামাত বড় হলে, মুসল্লি বেশি হলে ইমাম অনেক দীর্ঘ টেনে তাকবিরে তাহরিমা বলে। ইমাম যতই দীর্ঘ করে বলুক মুক্তাদিরা কিন্তু তাকবিরকে অত দীর্ঘ করে উচ্চারণ করে না। তাই এটাই স্বাভাবিক যে, ইমামের তাকবিরে তাহরিমা শেষ হওয়ার পূর্বেই মুক্তাদিদের তাকবিরে তাহরিমা শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মুক্তাদিদের নামাজ হচ্ছে না।
তাকবিরে তাহরিমা উচ্চারণ করা ফরজ। এমনকি কেউ যদি ইমামের পেছনে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ে তাকেও তাকবিরে তাহরিমা উচ্চারণ করতে হবে। তাই কেউ যদি তাকবিরে তাহরিমা বাগযন্ত্র দিয়ে উচ্চারণ না করে, মনে মনে খেয়াল করে তার নামাজ হবে না।
আপনি যদি কখনও মসজিদে প্রবেশ করে দেখেন ইমাম সাহেব রুকুতে আছেন তাহলে আপনাকে সোজা দাঁড়ানো অবস্থায়ই তাকবিরে তাহরিমা বলা শেষ করতে হবে। তাকবিরে তাহরিমা শেষ হওয়ার পূর্বেই যেন দেহ বা মাথা রুকু করার জন্য নত হয়ে না যায়। দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবিরে তাহরিমা শেষ হওয়ার পর পৃথক আরেকটি তাকবির বলতে বলতে রুকুতে যেতে হবে। যদি তা না করে, প্রথম তাকবির বলা অবস্থায়ই শরীর বা মাথা সামনে ঝুঁকে যায় তবে নামাজ ভেঙে যাবে। কেননা, তাকবিরে তাহরিমা শুদ্ধ হওয়ার জন্য দাঁড়ানো ফরজ।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এমএইউ/