ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কিছু উপদেশ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কিছু উপদেশ উপদেশের মূল উদ্দেশ্য হলো- মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা

উপদেশের মূল উদ্দেশ্য হলো- মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা। সব সময় কল্যাণের সঙ্গে থাকা। অন্যায় ও অকল্যাণ থেকে ফিরে থাকা।

প্রাপ্ত উপদেশ থেকে মানুষ অন্যায় ও অকল্যাণ থেকে ফিরে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। তাই মুসলিম উম্মাহর দুনিয়া ও পরকালীন জীবনের কল্যাণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ তুলে ধরা হলো।

যা মানুষকে উভয় জাহানের সম্মান ও মর্যাদার আসনে সমাসীন করবে।

ওই সব উপদেশের উল্লেখযোগ্য কিছু হলো-

১. মুসলিম উম্মাহ যে অবস্থায় থাকুক না কেন আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গে নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।  

২. সময় যত কমই হোক না কেন কোরআন তেলাওয়াত করা এবং এটা নিয়ে গবেষণা করা, সময়কে অযথা ব্যয় না করা।

৩. কথা বা ভাব বিনিময়ের সময় পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে স্পষ্টবাদী হওয়ার চেষ্টা করা। কেননা স্পষ্টবাদিতা ইসলামের অন্যতম গুণ।

৪. কোরআন-হাদিস বুঝার জন্য আরবি ভাষা শেখার চেষ্টা অব্যাহত রাখা। কেননা আরবি ভাষা জানা থাকলে কোরআনকে ভালোভাবে বুঝা সম্ভব।

৫. কোনো বিষয়েই মাত্রারিক্ত তর্কে না জড়ানো। কেননা এটা কোনো সময়ই সফলতা বয়ে আনে না।

৬. কখনোই বেশি হাসা-হাসি না করা। কেননা আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সম্পর্কিত আত্মা সবসময় শান্তচিত্ত ও ভারি হয়। বেশি হাসলে মানুষের অন্তর মরে যায়।

৭. কখনোই মশকরা না করা, মশকরা মানুষকে গোনাহের দিক ধাবিত করে।

৮. শ্রোতা যতটুকু আওয়াজ পছন্দ করে ততটুকু আওয়াজে কথা বলা। মাত্রারিক্ত আওয়াজ বা শোরগোল অন্যকে অত্যাচার ও নিপীড়ন করার শামিল।

৯. কখনোই কাউকে ছোট বা হেয় না করা।

১০. কল্যাণকর উপকারি কথা ছাড়া অযথা কোনো ব্যাপারে কথা না বলা।

১১. প্রতিবেশীর সঙ্গে উত্তম আচরণ করা, অনিচ্ছ্বা সত্ত্বেও পরস্পর পরিচিতি হওয়া। কারণ পরিচয়ের দ্বারা মানুষের মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি হয়।

১২. মানুষের প্রতি আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে যে পরিমাণ দায়িত্ব রয়েছে, সে তুলনায় মানুষের জীবনকাল অনেক কম। সুতরাং সময় অপচয় না করে প্রত্যেকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে সক্রিয় থাকা। হতে পারে তা ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি কিংবা পারিবারিক ও সামাজিক কাজ। সব কাজে নৈতিকতার পরিচয় দেওয়া।

১৩. সব সময় পরিষ্কার-পরিছন্নতার দিকে নজর দেওয়া। কেননা দ্বীন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপরে নির্মিত হয়েছে।

১৪. মানুষের কথা ও কাজে সবসময় মিল রাখা। শর্ত যত কঠিনই হোক না কেন, কথা ও কাজের ওপর অটল অবিচল থাকা।

১৫. সর্বোপরি সুযোগ্য নাগরিক হতে পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়া। কারণ শিক্ষার কোনো বয়স নাই। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী লাইব্রেরি গড়ে তোলা। প্রত্যেকেই জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি অন্যকে জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা।

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে বর্ণিত উপদেশগুলো মেনে চলার পাশাপাশি ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।