বৃহস্পতিবার (০৪ মে) এ বিষয়ে সৌদি বাদশাহ সালমানের রাজকীয় আদেশ জারি হয়েছে।
নতুন আদেশ জারির ফলে এখন থেকে নারীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
নারী অধিকার বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের সাধারণ সচিবালয় কর্তৃক উত্থাপিত ওই প্রস্তাব অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিউম্যান রাইটস কমিশনের সভাপতি বন্দর বিন মোহাম্মদ আল আইবান (Bandar bin Mohammed Al-Aiban) এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের প্রতি বাদশাহ সালমানের ভালোবাসার নিদর্শন এটি।
সৌদি আরবের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীরা সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অংশীদারিত্বের মূল্যায়ন অত্যন্ত ইতিবাচক।
গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে অনেক নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাদশাহ আবদুল্লাহ ২০১১ সালে নারীদের শূরা কাউন্সিলে যোগদানের অধিকার দেন। এছাড়া পৌর নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার দেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে নারীরা সেখানে ভোট দিতে পারছেন। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো শূরা কাউন্সিলে নারীদের নিযুক্ত করা হয়। তখন ৩০ জন নারী শূরা পরিষদের সদস্য হন। বর্তমানে শূরা পরিষদে সৌদি নারীদের প্রতিনিধিত্ব ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিন মাস আগে সারাহ আল সুহাইমি, রানিয়া নাশার ও লতিফা আল শাবান নামে তিন নারীকে সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যানের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-আরব নিউজ অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এমএইউ/