ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

ইসলামভীতি দূর করতে মার্কিন মুসলিম নারীর অনন্য উদ্যোগ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
ইসলামভীতি দূর করতে মার্কিন মুসলিম নারীর অনন্য উদ্যোগ খাবার তৈরি করছেন আমান্ডা সাবা

আমান্ডা সাবা (Amanda Saab)। আমেরিকার মিশিগানভিত্তিক সমাজকর্মী এবং ব্লগার। ডিনার বা রাতের খাবারের আয়োজন করে তিনি ইসলামভীতি দূর করার চেষ্টা করেন। গল্পটি বেশ রোমাঞ্চকর। চলুন, শোনা যাক।

অনেক ভয় এবং ঘৃণা সত্ত্বেও ২৮ বছর বয়সী নারী আমান্ডা সাবা দেখিয়েছেন, খাবার পরিবেশনের উদারতা কিভাবে সব মানুষকে প্রকৃতিগতভাবে এক সারিতে নিয়ে আসে। সাবা রাতের খাবারের দাওয়াতের সময় বলেন, ‘আপনার রাতের খাবার হবে প্রতিবেশীর সঙ্গে, তিনি সে ধর্মেরই হোন না কেন।

এক বছরের বেশি সময় ধরে সাবা তার বাড়িতে অপরিচিতদের দাওয়াত করে নিজের হাতে রান্না করা খাবার পরিবেশ করেন এবং এই বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা প্রতিটা দিন কিভাবে কাটান তা নিয়ে আলোচনা করেন।

টেলিভিশনে খবর দেখার সময় সাবা লক্ষ করেছেন ইসলামকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে না, মূলত এই বিষয়টি থেকেই তিনি ‘প্রতিবেশীর সঙ্গে রাতের খাবার’ ধারণাটি পান।  
খাবার টেবিলে মেহমানদের সঙ্গে কথা বলছেন সাবা
তিনি লক্ষ করেন, ইসলাম সম্পর্কে জানা এবং বোঝার ক্ষেত্রে বড় ধরনের শূন্যতা রয়েছে এবং মুসলিম হিসেবে তার ভেতরে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ‘এই বিষয়টা নিয়ে আমি কি করতে পারি? আমি কি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারি না এবং তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ গ্রহণ করে কিছু জানাতে পারি না?’

এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সাবা একা ছিলেন না, তাকে উৎসাহ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন স্বামী হুসাইন সাবা। শুরুর দিকে তারা কয়েকজন বন্ধু, সহকর্মী এবং কিছু অপরিচিত লোকদের রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে আস্থা অর্জন করেন।  

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এইভাবে খাবারের আয়োজন শুরুর পর থেকে এই দম্পতির নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন অনেকেই।  

এনবিসিকে সাবা বলেন, ‘মৌলিক প্রয়োজনগুলো আমাদের সবার কাছেই সমান। তাই ভালো খাবার শুধুমাত্র আমাদের পেটকে তুষ্ট করে না, এর মাধ্যমে আমাদের মনটাও সুস্থ হয়। ’

সাবা হচ্ছেন প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি ফক্স ‘মাস্টারশেফ’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মাধ্যমে আমেরিকানরা প্রথমবারের মতো হিজাব পরিহিত কোনো নারীর রান্নার অনুষ্ঠান দেখার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।

এই পোশাকে তাকে অনেক সমর্থন দিয়েছেন, কেউ কেউ এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে নিপীড়ন করেছেন।  

এ বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা আমাকে বুঝতে শিখিয়েছে, বিশ্বে অনেকে আমার উপস্থিতিতে বিরক্ত হয়। কিন্তু তাদের বিরক্ত হওয়া উচিৎ না। ’ 

এই দম্পত্তি এখন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের মিসেল হেবের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছেন।

অনলাইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে এই বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং আমেরিকাজুড়ে মুসলিমদের এই ধরনের খাবারের আয়োজন করার পরামর্শ দিচ্ছেন।  

-ওয়াশিংটন পোস্ট অবলম্বনে

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।