ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

‘যতবার লাব্বাইক বলেছে, ততবার হজে যাবে’ কথাটি কি ঠিক?

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
‘যতবার লাব্বাইক বলেছে, ততবার হজে যাবে’ কথাটি কি ঠিক? হজ আল্লাহ প্রেম ও বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ববন্ধনের অন্যতম পথ

হজ আল্লাহ প্রেম ও বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ববন্ধনের অন্যতম পথ। হজ বিশ্ব মুসলিমের সামাজিক, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক ঐক্যের এক অত্যুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

হজ আল্লাহর নির্দেশিত এমন একটা ফরজ বিধান, যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চম স্তম্ভ এবং ইসলামের অপরাপর বিধান থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।  

হজে আর্থিক ও কায়িক শ্রমের সমন্বয় রয়েছে, যা অন্য কোনো ইবাদতে একসঙ্গে পাওয়া যায় না।

হজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও সাম্যের প্রতীক।

প্রতিটি স্বাধীন, সুস্থ, বালেগ, বুদ্ধিমান ও সামর্থ্যবান মুসলিমের ওপর জীবনে কমপক্ষে একবার হজ আদায় করা ফরজ।  

কিন্তু লোকমুখে শোনা যায়, কাবাঘর নির্মাণের পর যখন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম হজের আহ্বান করলেন। তখন সকল সৃষ্টি লাব্বাইক বলেছে। তো যে একবার লাব্বাইক বলেছে সে একবার হজ করবে, যে দুইবার বলেছে সে দুইবার... এভাবে যে যতবার লাব্বাইক বলেছে সে ততবার হজ পালন করবে।

বর্ণনাটি লোকমুখে বেশ প্রসিদ্ধ। কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সনদে এটি বর্ণিত হয়নি।  

ইবনে আররাক (রহ.) জাল বর্ণনা বিষয়ক তার কিতাব তানজিহুশ শরিয়াহ্য় (২/১৭৬) বলেন, এটি আহলে বাইতের নামে মুহাম্মাদ ইবনে আশআসের জালকৃত কিতাবের একটি বর্ণনা।

এ বর্ণনাটি সে হজরত আলী (রা.)-এর নামে জাল করেছে। তাই এ কথার কোনো ভিত্তি নেই, যে যতবার লাব্বাইক বলেছে, সে ততবার হজে যাবে। আর ইসলামে বিধি-নিষেধও নেই বেশি বেশি হজ করার।  

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।