মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় গিয়ে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন।
মুজদালিফায় অবস্থানের ফজিলত ও বিধান
মুজদালিফা থেকে মিনায় যাওয়ার পথে পথিমধ্যে আবরাহার হস্তিবাহিনীকে আবাবিল পাখি কঙ্কর মেরে যেখানটিতে ধ্বংস করেছিল সেই ওয়াদিউন্নার বা ওয়াদিয়ে মুহাসসার নামক স্থান অতিক্রম করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে।
![হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজিরা। ছবি: বাংলানিউজ](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/220170901080339.jpg)
আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের ফজিলত
রাতযাপন শেষে এখান থেকে পশ্চিমে মিনায় যাবেন শয়তানকে কঙ্কর বা পাথর মারার জন্য। যাওয়ার আগে এখান থেকে অন্তত ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করবেন সবাই।
মিনায় পৌঁছে শুধু শয়তানের বড় স্তম্ভে (জুমরাতে উকবা) ৭টি পাথর মারবেন। অন্য স্তম্ভগুলোতে আজ শুক্রবার পাথর মারা যাবে না।
মুসলিম উম্মাহর হজ পালন
(জামরাতে) পাথর মারার পর কোরবানির নির্দিষ্ট নিয়মে একটি কোরবানি করতে হবে। কারো ক্ষতিপূরণমূলক কোরবানি (দম) দেওয়ার থাকলে সেটা আদায় করবেন। কেউ ইচ্ছা করলে একাধিক নফল কোরবানিও করতে পারবেন।
কোরবানি করার পর মাথা মুড়াতে হবে অথবা চুল ছাঁটতে হবে। এসব কাজ সমাধার পর ফরজ তওয়াফ বা তওয়াফে জিয়ারত করতে হবে। কিন্তু অত্যধিক ভিড় এড়ানোর জন্য ফরজ তাওয়াফ ইচ্ছা করলে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিলম্বিত করার সুযোগ রয়েছে।
১২ জিলহজ সকালে তিনটি স্তম্ভে পাথর মেরে মিনা থেকে চূড়ান্তভাবে বিদায় হয়ে মক্কা শরিফে এসে ফরজ তওয়াফ করার সুযোগ রয়েছে। এর আগে করলে আবার পাথর মারার জন্য মিনায় ফিরে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৭
এমএইউ/জেডএম