ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ৩ গুণ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ৩ গুণ ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ৩ গুণ

বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে। মুসলিম জনসংখ্যার শতকরা বৃদ্ধিহার বেশির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, তাদের মধ্যে বিবাহ ও সন্তান জন্মদানের হার অন্যদের তুলনায় বেশি। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ।

মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ার হার এমন থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে মুসলিমরা জনসংখ্যা হবে ৩ গুণ। ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টার নতুন এক জরিপে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

পিউ রিসার্চ বলছে, ইউরোপে ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে পশ্চিম ও পূর্ব ইউরোপের মধ্যে বেশ ফারাক পরিলক্ষিত হয়েছে।  

যেমন জার্মানিতে অভিবাসী গ্রহণের কারণে ২০১৬ সালে ৬.১ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়বে ১৯.৭ শতাংশ। অথচ পূর্ব ইউরোপীয় দেশ পোল্যান্ডে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধির হার দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ।  

এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮ দেশ এবং নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড যদি অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় তবুও সেখানকার তরুণ মুসলিমদের বয়স ও উচ্চ জন্মহারের কারণে পশ্চিম ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকবে।  

কিন্তু পূর্ব ইউরোপে এ হার সর্বদাই কম থাকবে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপে গড় জন্মহার ১.৬ শতাংশ, যেখানে মুসলিমদের জন্মহার ২.৬ শতাংশ।  

এ ছাড়া ইউরোপে অমুসলিমদের চেয়ে মুসলিমরা বেশ তরুণ। ১৫ বছরের কম বয়সী মুসলিমদের হার ২৭ শতাংশ এবং ননমুসলিমদের হার ১৫ শতাংশ।  

পিউ রিসার্চ বলছে, ২০১৬ সালে ইউরোপের ৩০টি দেশে মোট ৪.৯ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৫৮ লাখে। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ৯৫ লাখ।

২০১৪ সালের পর থেকে প্রতি বছর ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় পাঁচ লাখ মুসলিম অভিবাসী এসেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মুসলিম দেশ সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে অভিবাসী প্রবেশের এ হার সবচেয়ে বেশি।  

গবেষকেরা তিনটি অবস্থার ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সেগুলো হলো- ২০১৬ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত শূন্য অভিবাসী, মধ্যম অভিবাসী (সীমান্ত বন্ধ থাকলেও অন্য কারণে অভিবাসী প্রবেশের হার অব্যাহত থাকবে) এবং উচ্চ হারে অভিবাসী গ্রহণ।  

জরিপ বলছে, শূন্য অভিবাসী গ্রহণ পরিস্থিতিতে ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা ৪.৯ শতাংশ থেকে ৭.৪ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

এ হিসাবে ইউরোপের সর্ববৃহৎ মুসলিম অভিবাসী গ্রহণের দেশে পরিণত হবে ফ্রান্স। দেশটিতে মুসলিমদের সংখ্যা ৮.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১২.৭ শতাংশে।  

মধ্যম অভিবাসী গ্রহণের ওপর ভিত্তি করে পিউ রিসার্চ বলছে, সুইডেনে মুসলিম জনসংখ্যার হার ২০.৫ শতাংশ বাড়বে, যা ইউরোপের মধ্যে হবে সর্বোচ্চ। যুক্তরাজ্যে ২০১৬ সালের ৬.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৬.৭ শতাংশে। ফিনল্যান্ডে ২.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১১.৪ শতাংশ। এভাবে ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে কমবেশি মুসলিম জনসংখ্যার হার বাড়বে।  

এ ছাড়া উচ্চহারে অভিবাসী গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ২০৫০ সালের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা সুইডেনে ৩০.৬, ফিনল্যান্ডে ১৫ এবং নরওয়েতে ১৭ শতাংশ হবে। তবে হাঙ্গেরি ও গ্রীস ছাড়া পূর্ব ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কম হবে।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।