ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

দুই মসজিদের দেশ হন্ডুরাস

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
দুই মসজিদের দেশ হন্ডুরাস হন্ডুরাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সান পেড্রোসুলায় অবস্থিত একমাত্র মসজিদ

মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস। দেশটি স্পেনের কাছ থেকে ১৮২১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। রাজধানী ও সর্ববৃহৎ শহরের নাম টেগুসিগালপা। এক লাখ ১২ হাজার ৪৯২ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ লাখ। তন্মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ১৫ হাজারের মতো।

১৯৬৯ সালে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হন্ডুরাসের সঙ্গে এলসালভাদরের যুদ্ধ হয়, যা ‘ফুটবল ওয়ার’ নামে পরিচিত। আশির দশকে দেশটি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সেনা পাঠানোর গৌরব অর্জন করে।

দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত হলে হন্ডুরাস প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। কফি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল ও আখ ভালো জন্মে। তৈরি পোশাকও রপ্তানি করে তারা।  

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ বিশ্বের সব দেশের সংবিধান বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, বিশ্বের ৩০টি দেশে কেউ রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে তাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি ধর্মের অনুসারী হতে হয়।

আর আটটি দেশের সংবিধান অনুসারে ধর্মীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। হন্ডুরাস তার অন্যতম। এর দ্বারাই বুঝা যায়, হন্ডুরাসে সংখ্যায় কম হলেও মুসলমানরা তাদের স্বকীয়তা রক্ষা করে চলতে পারেন।  

হন্ডুরাসে মুসলমানদের ইবাদতের জন্য মাত্র দু’টি মসজিদ রয়েছে। অবশ্য মসজিদ ছাড়া বেশ কয়েকটি নামাজের স্থান রয়েছে। যেখানে ওয়াক্তিয়া নামাজের ব্যবস্থা আছে।  
 
হন্ডুরাসের দু’টি মসজিদের মধ্যে একটি নীল রঙে সুসজ্জিত। এই মসজিদটি দেখতে এবং সেখানে নামাজ আদায় করতে অনেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে আসেন।  
হন্ডুরাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সান পেড্রোসুলায় অবস্থিত একমাত্র মসজিদে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা
হন্ডুরাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সান পেড্রোসুলায় (San Pedro Sula) একমাত্র মসজিদটি অবস্থিত। ব্যতিক্রমী এ ভবন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মসজিদের চারপাশে প্রচুর পাম গাছ রয়েছে। মসজিদের গম্বুজ ও মিনারের ওপর বেশ কয়েকটি চাঁদ আঁকা হয়েছে। এই মসজিদের আজান অনেক দূর থেকে শোনা যায়।

এখানে একসঙ্গে দেড় হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। রয়েছে নারীদের নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা। হন্ডুরাসের মুসলমানদের বেশিরভাগ স্প্যানিশ, আরবি ও পাকিস্তানের।

হন্ডুরাসের অন্য মসজিদটি তেগুসিগালপা শহরে অবস্থিত।

হন্ডুরাসে মুসলমানদের সংখ্যা কম হলেও তারা অনেকটা স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম পালনের সুযোগ পান।  

সান পেড্রোসুলায় মসজিদ নির্মাণের পূর্বে শহরের কেন্দ্রীয় হাসপাতালের কাছে ছোট একটি কক্ষে তারা নামাজ আদায় করত।  

এখনও অনেক মুসলমান এমন ছোট ছোট পরিত্যক্ত গুদাম, ভবন ও দোকানে নামাজ আদায় করে থাকেন।  

হন্ডুরাসে ইসলামের আগমন ঘটে ব্যবসায়ী আরবদের মাধ্যমে। ১৮৯৫ সালের দিকে প্রথম তারা ব্যবসায়িক কারণে দেশটিতে আসে। ধীরে ধীরে তারা হন্ডুরাসের মূলস্রোতে মিশে যায়, আর এভাবে বাড়তে থাকে মুসলমানদের সংখ্যা।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।