ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

সৌভাগ্যের আশায় রাতভর ইবাদত-বন্দেগি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৬ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৮
সৌভাগ্যের আশায় রাতভর ইবাদত-বন্দেগি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলিম উম্মাহ পালন করে সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে।  

মঙ্গলবার (০১ মে) দিনগত রাত ছিল পবিত্র শবে বরাত।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। মর্যাদাপূর্ণ এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।

মহিমান্বিত এই রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন ছিলেন। অনেকে রোজা রেখেছেন। দান-খয়রাত করছেন।

বিগত জীবনের পাপ মার্জনা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেছেন।  
এদিকে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরি করা হয়। এসব খাবার বিতরণ করা হয় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে।

সন্ধ্যার পরে অনেকে যান কবরস্থানে। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। শবে বরাত মুসলিমদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। তাই শবে বরাতের রাত থেকে আসন্ন রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায়।
পবিত্র শবে বরাত পালনের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি গ্রহণ করে। ইসলামী ফাউন্ডেশন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মঙ্গলবার বাদ মাগরিব থেকে রাতব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে।  

এর মধ্যে ছিল ‘শবে বরাতের ফজিলত’, ‘ইবাদত ও দোয়ার গুরুত্ব’, ‘শবে বরাত ও রমজানের তাৎপর্য’, ‘জিকিরের ফজিলত ও গুরুত্ব’ এবং ‘তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত’ বিষয়ে আলোচনা।

ছিল পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত। ফজরের পর হয় আখেরি মোনাজাত।  

রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে কিংবা বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন মুসলমানরা।   

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৮
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।